সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে ঘিরে মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি সমর্থিত সম্পাদকপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
কাজলের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার এ তথ্য জানান।
এদিন কাজলের পক্ষে জামিন শুনানি করেন মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, মো. আসাদুজ্জামান, কায়সার কামাল, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, এজাহারে রুহুল কুদ্দুস কাজলের নাম ছাড়া আর কিছুই নেই। যে কোনও শর্তে তার জামিন চাই। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১০ মার্চ কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৪ মার্চ রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি, মারামারি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেক ৪০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে এ মামলায় করেন। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে, দুই নম্বর আসামি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
৯ মার্চ এই মামলায় কাজী বশির আহমেদ, তুষার, তরিকুল, এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী নামে পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন...
সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে মারামারি: ৫ আইনজীবী কারাগারে
আমাকে আটক করে তথাকথিত ফল ঘোষণা: রুহুল কুদ্দুস কাজল
তিন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেলকে অব্যাহতি