বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১০৮টি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এর অধীনে ২৯ হাজার ৯৭৭ জনকে চিকিৎসা প্রদান এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এসব তথ্য জানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের টিম।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম বলেন, আমরা বন্যার্তদের পাশে থেকে তাদের সহায়তায় জোরালো ভূমিকা রাখছি। ত্রাণ, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম চালিয়েছি। তাদের সহায়তায় মেডিক্যাল টিম গঠন ও ট্রেনিং চলমান থাকবে।
আরেক সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুন্তাসির চৌধুরী জানান, পাঁচটি জেলায় তারা স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন এই বন্যার সময়ে। এর মধ্যেই নোয়াখালীতে ক্যাম্প ২৩টি ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৫০ জন, ফেনীতে ফিল্ড হাসপাতাল ও ৬১টি ক্যাম্প ১৬ হাজার ৪৮৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ১১টি ক্যাম্পে ৩ হাজার ১৮০ জন, কুমিল্লায় ৮টি ক্যাম্পে ২ হাজার ৭০০ জন ও খাগড়াছড়িতে ৫টি ক্যাম্প ১ হাজার ৭৫৯ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে বন্যার্ত এলাকায়।
এ সময় প্রতিটি টিমকে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারা সহায়তা করেছেন বলেও জানান। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে তাদের খরচ মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা।
তাহমিদ আল মুন্তাসির আরও বলেন, তবে আক্রান্ত জেলাগুলোর সিভিল সার্জন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেলো, বন্যা-পরবর্তী সময় পানিবাহিত রোগের মহামারি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনী, নোয়াখালীসহ অন্যান্য বন্যাকবলিত এলাকায় এ ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই মহামারি প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ড্রিমার্স কনসালটেশন অ্যান্ড রিসার্চ, আইসিডিডিআর’বি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আক্রান্ত।
জেলাগুলোয় ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনীর মহিপালে প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিটি বন্যাকবলিত জেলায় ২০০ বেডের একটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করা জানিয়ে সংগঠনটি জানায়, প্রতিটি ফিল্ড হাসপাতালের আওতায় ছোট ছোট মেডিক্যাল টিম থাকবে, যারা প্রান্তিক এলাকায় চিকিৎসাসেবা দেবে এবং গুরুতর রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় ফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হবে। আসন্ন মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে সচেতন ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।