দেশে শুধু বিশুদ্ধ পানীয়জল এবং স্যানিটেশন নিশ্চিত করাই অর্জন নয়, অপরিশোধিত মানববর্জ্য (পয়ঃবর্জ্য) পরিশোধন ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে অপরিশোধিত বর্জ্য পরিবেশে মিশে গিয়ে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি না করে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন ইন বাংলাদেশের উদ্যোগে আলোচনা সভার আলোচকরা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশের মাঝারি ও ছোট-মাঝারি শহরগুলোতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৬ দশমিক ২ এবং এসডিজি ৬ দশমিক ৩ অর্জনের অগ্রগতি এখনও সীমিত, অনেক ক্ষেত্রে একেবারেই হয়নি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মাঝারি শহরগুলোর মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ নগর বর্জ্য নিরাপদভাবে সংগ্রহ, পরিবহণ ও পরিশোধন করা হয়, যা স্যানিটেশন ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
আলোচনা সভায় বলা হয়, আগামী ১০ বছরে নগর স্যানিটেশন খাতে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের পরিকল্পনা থাকলেও শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। বরং স্যানিটেশন কর্মীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা, সেপটিক ট্যাংক থেকে সরাসরি নিষ্কাশন লাইনের অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেল অনুসরণ না করলে কোনও উদ্যোগই টেকসই হবে না। সর্বোপরি, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এই উদ্যোগগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আলোচনা সভায় প্র্যাকটিক্যাল এ্যাশনের কান্ট্রি ডিরেক্ট ইশরাত শবনম বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষায় জলবায়ু-সহনশীল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’