বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হচ্ছে না আজ। রবিবার (২৯ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, ‘চিফ প্রসিকিউটর সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকায় আজ আবু সাইদ মামলার ফরমাল চার্জ জমা দেওয়া (ট্রাইব্যুনালে) হচ্ছে না।’
এর আগে গত ১৫ জুন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আগামী ১৪ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলার শুনানির জন্য ২৬ জুন দিন নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন, বি এম সুলতান মাহমুদ ও এস এম মঈনুল করিম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন ও দেলোয়ার হোসেন সোহেল।
প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন সাবেক এসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশসহ আরও অনেকে সহায়তা ও উসকানি দিয়েছেন। মামলার চার আসামি অন্য মামলায় আগে থেকেই গ্রেফতার আছেন।
এদিকে ট্রাইব্যুনালের আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন আবু সাইদ হত্যা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করে তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়। সেদিন সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করার মধ্যে তাকে গুলি করার ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।