পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় উন্নয়নে পরিবেশের সুরক্ষায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে কাজ করতে হবে। সরকারি বরাদ্দের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে পরিবেশের সুরক্ষা ও বৃক্ষরোপণ করতে হবে। ইতিবাচক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কাজের গুণগত মান রক্ষা করে পালন করতে হবে নিজ নিজ দায়িত্ব। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মজীবনে প্রয়োগ করে জনসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতর বা সংস্থার প্রকল্প পরিচালক ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাস্থান অধিকারী কর্মকর্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মন্ত্রী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন বন অধিদফতরের সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়, দ্বিতীয় পুরস্কার পান বগুড়া সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এবং সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আবু নাসার উদ্দিন এবং বন অধিদফতরের সহকারী প্রধান বন সংরক্ষক ড. মরিয়ম আক্তার।
পরিবেশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ব্যাচে প্রথম পুরস্কার পান পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও মো. হাসান হাসিবুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন উপ-পরিচালক মো. ইলিয়াস মাহমুদ এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ইসরাত সাদমীন, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদ হাসান ও সহকারী পরিচালক জাওয়াতা আফনান। পুরস্কারপ্রাপ্তদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বই ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধান, প্রকল্প পরিচালকরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।