জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জলবায়ু অভিযোজনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন সিইজিআইএস’র নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, এনএনআরসির সিইও এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশস্থ সুইডেন দূতাবাসের প্রথম সচিব নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম প্রমুখ।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূরুন নাহার হেনা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু প্রভাবের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক্ষেত্রে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় নারীরা সুপেয় পানির অভাবে পিরিয়ড বন্ধ রাখার জন্য ওষুধ খাওয়ার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। জলবায়ু বিষয়ে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন প্রশিক্ষণসূচিতে এ বিষয়ে সেশন রাখা হচ্ছে বলে সবাইকে অবহিত করেন।
প্রধান আলোচক মালিক ফিদা এ খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণে এগিয়ে আছে। ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ুবান্ধব সমাজ গঠনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান প্রণয়নে বিশ্বের ৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম ৫টির মধ্যে বিবেচিত করা হয়েছে।
মুক্ত আলোচনায় সুইডিস দূতাবাসের প্রথম সচিব নায়োকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সার্বিক তথ্য প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের যৌথভাবে কাজ করার অনুরোধ করেন। এক্ষেত্রে, বৈজ্ঞানিক ও স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় করে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন অংশীজনদের মধ্যে অংশীদারীত্ব বিনির্মাণের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটকে এই সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ প্রদান করেন। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সূফী জাকির হোসেন, পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, বিসিজেএফ এর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন সেমিনারে অংশ নেন। ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক নাফিস আহমেদ এবং সমন্বয়ক হিসেবে উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান দায়িত্ব পালন করেন।
সেমিনারে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, জলবায়ুকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।