গত ২ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দূষণবিরোধী অভিযানে ৬৮৬টি মামলায় মোট ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সময় ১০৭টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদফতর সারা দেশে জানুয়ারি মাসজুড়ে দূষণবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। ২ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ২৮৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এই অভিযানে ৭টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সিসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ এবং কারখানা বন্ধ করা হয়।
অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সিসা/ব্যাটারি রি-সাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণসামগ্রী রেখে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে গত বছরের ৩ নভেম্বর হতে এ পর্যন্ত সারা দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ৩০৩টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৫৯১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায়সহ আনুমানিক ১ লাখ ১৭ হাজার ২১৮ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ এবং ১১টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা ও ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহের বিরুদ্ধে ৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। ৭টি মামলায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সারা দেশে ৯ হাজার ৫২৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। বিভিন্ন দোকান মালিককে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
একই দিনে কুড়িগ্রাম, ফেনী, ঝালকাঠি, ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও ঢাকায় ৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ১৪টি মামলায় ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৪টি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ৯টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকার মুগদা, মতিঝিল ও উত্তরা এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের অভিযোগে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৩টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
শব্দদূষণ রোধে ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ ও মেহেরপুরে ৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৮টি যানবাহনের চালককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১৫টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।
এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।