জঙ্গি প্রতিরোধ দেশব্যাপী একটি নাগরিক নেটওয়ার্ক গঠন করার পরিকল্পনা করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। ঈদুল ফিতরের পর পুরোদমে এ বিষয়ে কাজ শুরু করবে পুলিশের এই নতুন ইউনিট। বুধবার দুপুরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পৃথক ইউনিটগুলো নিয়ে একটি বৈঠক করে এই কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করেছেন ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম।
গত ৩ মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে ৯ জনকে একই কায়দায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকারীরা প্রতিনিয়ত তাদের কৌশল পরিবর্তন করলেও হত্যার ধরনে তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি। তাই পুলিশের পক্ষ থেকেও তাদের মোকাবিলায় নতুন এই কর্মপরিকল্পনা করা হলো।
বৈঠকে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সিটিটিসি’র প্রতিটি ইউনিটের জনবল নিয়োগ হয়েছে। অভিজ্ঞ ও আগ্রহী পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। ঈদের পর কাজ শুরু হবে। সারাদেশের মানুষকে জঙ্গি মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের সমাজ ব্যবস্থা, সামাজিক রীতিনীতি এবং আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কর্ম-কৌশল নির্ধারণ করে। তাই আমরাও ওইভাবে অগ্রসর হতে চাই।
পুলিশের এই নতুন ইউনিটের বৈঠকে প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তা জঙ্গি মোকাবিলায় এই মুহূর্তে কী কী করনীয়, তা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে উপস্থিত আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিরা মূলত গোপনে এবং নতুন নতুন কৌশল কাজ করে। এসব কৌশল কী হতে পারে, তা জনগণকে আগে থেকে ধারণা দিলে, তারাই ধরতে পারবে। প্রতিটি নাগরিকের এবিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও জঙ্গি নিয়ে মানুষ কী ভাবছে, তাও পুলিশ জানবে। নাগরিকদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, নাগরিকদের এ বিষয়ে ধারণা দিয়ে পুলিশ তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। এটা আধুনিক পদ্ধতির অংশ। প্রতিটি নাগরিক সচেতন হলে জঙ্গিরা কোথাও বসে ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।
বৈঠকের বিষয়ে সিটিটিসির বোম ডিস্পোজাল টিমের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদের পরে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করব। তার একটি কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। মানুষকে সম্পৃক্ত করে আমরা আরও বেশি ফল পাব বলে আশা করি।
/এআরআর/এমএনএইচ/