রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম নিহত হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মোহাম্মদপুরের ভেরি বাঁধ এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দাম মোটরসাইকেলে মোহম্মদপুরের ভেরি বাঁধ এলাকা দিয়ে রায়ের বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সিটিটিসি পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল না থামিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি ছুড়লে তারা নিহত হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ইউসুফ আলী জানান, গভীর রাতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দলের সঙ্গে নব্য জেএমবি সামরিক কমান্ডার মারজান ও তার সহযোগী সাদ্দামের বন্দুকযুদ্ধ হয়। তাদের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম রংপুরে জাপানি নাগরিক ওসি কুর্নিও হত্যা, পঞ্চগড়ের পুরোহিত জগেশ্বর হত্যা, কুড়িগ্রামের নব্য খ্রিস্টান হুসেইন আলী, রংপুরের বাহাই নেতা হত্যা চেষ্টার মামলার আসামি।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ রাত ৩টা ৪০ মিনিটে লাশ দুটি ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সবচেয়ে কমবয়সী কমান্ডার মারজান (২৩)। সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার দক্ষতা, সদস্য সংগ্রহ এবং কাউন্সিলিং করে আত্মঘাতী হামলায় শিক্ষিত তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার বিশেষ পারদর্শিতার কারণে সে এই কমান্ডিং পদবি পেয়েছে। গুলশান হামলার ঘটনায় মারজানের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল গোয়েন্দারা।
/এআরআর/টিএন/বিটি/