ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেলকনির নিচে করোনা ইউনিট করেছে। আমি দেখলাম, তারা যেসব সেড করেছে তার পার্টিশনগুলো দাহ্য পদার্থ দিয়ে করা হয়েছে। সিলিং ও রূপ টপ থেকে শুরু করে সবটাই ছিল দাহ্য পদার্থ। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল করার সময় দাহ্য পদার্থ না দিয়ে কীভাবে এটাকে করা যায়, কর্তৃপক্ষের তা আরও বেশি চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মেয়র এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভেতরের সব এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বর্ধিত অংশটি ফায়ার সেফটির বিষয়টি মাথায় রেখেই করা উচিত ছিল। আমার কাছে কাছে সবচেয়ে খারাপ লেগেছে, তাদের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এটি মোটেই ঠিক হয়নি। এটা যেকোনও জায়গাতে সচল রাখতে হবে। তারা হাসপাতালকে বাড়িয়েছে সেজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, এটা না করলে আমরা যারা রোগী হয়ে আসতাম, তারা কিন্তু আমাদেরকে ভর্তি নিতেন না। কিন্তু তার পাশাপাশি তাদের উচিত ছিল, যেটা তারা বর্ধিত করেছে তাতে যারা ফায়ার ড্রিল করেন, তাদেরকে যুক্ত করা। ফায়ার ফাইটার টিমস যদি থাকতো তাহেল এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো না।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছেন, তাদের টিম ছিল তারা চেষ্টাও করেছে। কিন্তু করোনা রোগী যেহেতু সেখানে ছিল, তাই তারাও ভেতরে যেতে ভয় পাচ্ছিল। তাদের ফায়ার হাইড্রেন দেখলাম। সেখানে তাদের টেকনিক্যাল টিম ছিল না। আগুন লাগলে কে সেখানে কাজ করবে, কে আগুন নেবাতে যাবে, সেটা আমি পেলাম না।’
ডিএনসিসির মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তাদের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলো আমি দেখেছি। তাতে মেয়াদ ছিল না। ১১টি যন্ত্রের মধ্যে ৯টির শেয়াদোত্তীর্ণ। তারা বলেছেন, তারা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কাজ করেনি। ভেতরে আরও যেসব অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আছে, সেগুলোর মেয়াদও আছে কিনা সেটাও দেখা দরকার।’
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘এখানে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমি নিজে এসেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি মনে করি, এ ধরনের হাসপাতালে রোগী আসে ভালো হওয়ার জন্য, কিন্তু হাসপাতলে এসে রোগী যদি মারা যান, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক ব্যাপার। আমাদেরকে আরও বেশি ফায়ার সেফটির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তদন্ত চলছে। যদি গাফিলতি থেকে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’