X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
২৯ বৈশাখ ১৪৩২

শেখ হাসিনার দিকেই তাকিয়ে কাউন্সিলররা

পাভেল হায়দার চৌধুরী
২১ অক্টোবর ২০১৬, ২০:১৩আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৬, ১২:২২

শেখ হাসিনা

নেতৃত্ব নির্বাচনে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দই কাউন্সিলরদের পছন্দ। কে হবেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক, এ নিয়ে গত দু’দিন ধরে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও কাউন্সিলররা শেখ হাসিনার দিকেই তাকিয়ে আছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ পদে শেখ হাসিনা যাকে বেছে নেবেন, তা মাথা পেতে নেবেন আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচনের কারিগর কাউন্সিলররা। শেখ হাসিনার ইঙ্গিত যেদিকে থাকবে, সেদিকে কাউন্সিলররাও থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

ঐতিহ্যবাহী এ দলটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে নানা আলোচনা থাকলেও তাতে কান দিতে চান না আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি তৃণমূলের নেতারা। তারা জানান, ঢাকায় সাধারণ সম্পাদক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও সর্বোচ্চ জায়গা থেকে এ বিষয়ে কোনও আগাম বার্তা তারা পাননি। তাই এ নিয়ে তাদের কোনও কৌতূহল নেই। সারা দেশ থেকে ইতোমধ্যে কাউন্সিলররা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আগামী রবিবার এরাই নেতা নির্বাচন করবেন ।

নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা হয় বিভিন্ন জেলার কয়েক জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে। আগামী রবিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিলদের অধিবেশনে তারাই ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন। ভোটাভুটির নিয়ম থাকলেও আসলে কাউন্সিলররা সভাপতি শেখ হাসিনার ওপরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। আগের কয়েকটি সম্মেলনেও তা-ই ঘটেছে। এবারও তারা শেখ হাসিনাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের দায়িত্ব  দেবেন বলে জানিয়েছেন। আর শেখ হাসিনাই বেছে নেবেন তার ‘রানিংমেট’ এমন আভাসও দিয়েছেন তারা। 

দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে নির্মিত হয়েছে সম্মেলনের মূল মঞ্চ

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খুলনা বিভাগ থেকে আসা খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুণ অর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে কোনও ভাবনা নেই।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের দায়িত্ব আমরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতেই ছেড়ে দেবো। উনি  (শেখ হাসিনা) যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তা মাথা পেতে নেবো।’ খুলনা জেলার এ কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত সম্মেলন হয়েছে আমরা কাউন্সিলররা শেখ হাসিনার ওপর তার রার্নিংমেট নির্বাচনের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। আমরা দেখেছি উনি সব সময়ই যোগ্য নেতা বেছে নিয়েছেন। তাই তার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’ এই নেতা বলেন, ‘নেতৃত্ব ভার গ্রহণ করে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েই দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের শতভাগ আস্থা-বিশ্বাস রয়েছে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে নেতা নির্বাচন করতে তিনি ভুল করবেন না।’



সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর সড়কগুলোতে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সদর উদ্দিন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি যাকে নিয়ে দল চালাতে কমফোর্ট ফিল করবেন, তাকেই তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নেবেন। আমরা কাউন্সিলররা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের দায়িত্ব  তার ওপরে ছেড়ে দেবো। অতীতেও আমরা তাই করেছি।’ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে তার ব্যক্তিগত কোনও পছন্দ-অপছন্দ নাই মন্তব্য করে সদর উদ্দিন বলেন, ‘শেখ হাসিনার পছন্দই কাউন্সিলর হিসাবে আমার পছন্দ।’ গত দু’বারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কেমন দায়িত্ব পালন করেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে যখন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনিই ভালো কাজ করেন।’

ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু বলেন, ‘আমরা চাই পরীক্ষিত নেতাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। নেত্রী (শেখ হাসিনা) সব সময়ই পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করেন, এবারও করবেন।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তিনিই বেছে নেবেন তার সহকর্মী।’ শেখ হাসিনা পদে থাকতে চান না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল কাদের মজনু বলেন, ‘সভাপতি পদে তাকেই থাকতে হবে।’

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের দায়িত্ব আমাদের হলেও এ দায়িত্ব আমরা তুলে দেবো দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর।’ তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি সম্মেলনে শেখ হাসিনা যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে নেতা নির্বাচন করেছেন এবং সফল হয়েছেন, তাতে ওনার প্রতি নেতা নির্বাচনের আস্থা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’

কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল বলেন, ‘শেখ হাসিনাই সব। তিনিই তার নেতা নির্বাচন করবেন। তিনি যাকে বেছে নেবেন, আমরা তা মেনে নেবো। আমরা তার নেতৃত্বে ছিলাম,আছি ও থাকব।’ 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাবান। সাধারণ সম্পাদকের পদটি কে পাওয়ার যোগ্য,তিনিই ভালো বুঝবেন।কে দলের সাধারণ সম্পাদক হবেন,তা নির্বাচনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন।’ 

ছবি: নাসিরুল ইসলাম ও চৌধুরী আকবর হোসেন

এপিএইচ/

আরও পড়ুন: 

রাজধানীতে যেন ঈদ

আওয়ামী লীগের যত সম্মেলন

সৈয়দ আশরাফ না ওবায়দুল কাদের?

 

সম্পর্কিত
সাবেক এমপি শিল্পী মমতাজ গ্রেফতার
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আওয়ামী লীগের ৫ ইউপি সদস্যকে ধরে পুলিশে সোপর্দ
সর্বশেষ খবর
নটর ডেম কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নটর ডেম কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নৌ পথে ঈদযাত্রা ও পশুবাহী নৌযান নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ: অতিরিক্ত আইজিপি
নৌ পথে ঈদযাত্রা ও পশুবাহী নৌযান নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ: অতিরিক্ত আইজিপি
থাইল্যান্ডে গেছেন মির্জা ফখরুল
থাইল্যান্ডে গেছেন মির্জা ফখরুল
যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা: নার্স, বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিদের শঙ্কা
যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা: নার্স, বিশ্ববিদ্যালয় ও এমপিদের শঙ্কা
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আসন্ন বাজেটে নতুন কী থাকছে
আসন্ন বাজেটে নতুন কী থাকছে
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
একাত্তরে গণহত্যায় সহযোগিতায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যার আহ্বান এনসিপি’র
একাত্তরে গণহত্যায় সহযোগিতায় অভিযুক্তদের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যার আহ্বান এনসিপি’র