সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের এখতিয়ার কেবল নির্বাচন কমিশনের বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের আপত্তি থাকবে না। তবে তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে নেওয়ার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। আশা করি নির্বাচন কমিশন আলোচনার মধ্য দিয়ে সম্মানজনক সমাধানে পৌঁছাবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর মুলতবি বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর। কারণ তিনি নিজেও ইভিএম পদ্ধতিতে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়া সদর আসন থেকে। সর্বশেষ ইভিএমে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা নির্বাচনও ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এর চেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ আর কী হতে পারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে ‘দেশে বিরোধীদের বাক স্বাধীনতা নেই’ অভিযোগের জবাবে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মতো বিরোধী কণ্ঠের স্বাধীনতা পৃথিবীর কোন দেশে আছে? বিএনপি নেতারা আ.লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলছেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন, যখন যা খুশি তাই বলছেন, তারপরেও সরকার তাদের গ্রেফতার করেনি, মামলা দায়ের করেনি, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কথা বলার বিষয়ে পৃথিবীর কোথাও এতো স্বাধীনতা নেই। তাহলে তাদের কণ্ঠরোধ করা হলো কীভাবে? হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ বিষয়ে যে মন্তব্য করেছে তা অযৌক্তিক এবং মনগড়া।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এবং তারিখ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকার কীভাবে অন্যায় করলো? কামাল হোসেনের এ মন্তব্য সঠিক নয়।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, অবিলম্বে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় শৃঙ্খলা কমিটি চাপ প্রয়োগ করবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর মুলতবি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।