আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা ছিল আজ বুধবার (১৫ মার্চ)। বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদের ভিড় এবং তাদের চেয়ার দখল করে থাকা নিয়ে হট্টগোল হয়।
ফলে যৌথসভা শুরুর আগেই আমন্ত্রিত নেতাদের ছাড়া যারা ভিড় করেন এবং চেয়ার দখল করে বসেছিলেন, তাদের সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। তাতে নেতাকর্মীরা কর্ণপাত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা কারা, এদের তো চিনি না। আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়া সবাই হলরুম থেকে বেরিয়ে যান। না হয় তাদের বের করে দেওয়া হবে, সেটা ভালো হবে না।
এসময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী প্রয়োজন, সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব প্রয়োজন। আপনারা সসম্মানে বেরিয়ে যান।
পরে কিছু নেতাকর্মী সরে গেলেও অনেকে তখনও সরছিলেন না। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে একই ধরনের কথা বলেন। নেতাদের সতর্কবার্তা শুনে অনেকে হলরুম ছেড়ে বেরিয়ে যান।
আগামী আলোচনা সভায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সেই তুলনায় ছোট। গত কয়েকটি অনুষ্ঠানে দেখেছি, জুনিয়ররা সামনের সারিতে বসে থাকে। আপনারা সিনিয়রদের বসার জায়গা করে দেবেন।
যৌথসভার শেষ দিকে এসে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শ্রমিক লীগের একজন বসে আছে এদিকে, আরেকজন বসে আছে সেদিকে। পাশাপাশি বসতে পারলেন না? আর যদি শুনি এই অফিসকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, এই কমিটি আমরা ভেঙে দেবো। এই কমিটি ভেঙে দেবো। যারা ভালো পারবে, তাদের দিয়ে কমিটি করবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির নামে ভুয়া সিগনেচার, কে করছে আমি বের করছি। তার খবর আছে।