X
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২

আমরা বলছি বিভাগীয় সমাবেশ, জনগণের প্রত্যাশা মহাসমাবেশ: নোমান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ নভেম্বর ২০২২, ১৫:৪৮আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২২, ১৬:২০

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিভাগীয় সমাবেশ নাকি মহাসমাবেশ, এটা নিয়ে অনেক কথা, আসলে এটা বিভাগীয় সমাবেশ। কিন্তু মহাসমাবেশ কে বলছে? বলেছে এ দেশের জনসাধারণ। তাদের প্রত্যাশা, এটা মহাসমাবেশ হবে। ঘটনাগুলো যেভাবে ঘটছে, তাতে এই প্রত্যাশা যথাযথ এবং সঠিক।’

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘প্রাণিখাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি: বিপর্যস্ত পোল্ট্রি ও ডেইরি খামার’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব), ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এই সেমিনারের আয়োজন করে।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেখানে সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে, সেটা আমরা বলতে পারি না। কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে। তাদের প্রত্যাশা বিএনপির প্রতি বেশি। ইনশাআল্লাহ সরকারের পতন হবে। তাদের পতন বেশি দূরে নয়।’

আজ ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মানুষ জেগে উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দেশে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সে কারণেই মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবো না। তারা দিনের ভোট রাতে করেছে। নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ইনশাআল্লাহ আমরা আন্দোলনে জয়ী হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে পণ্যের দাম বেশি। আমাদের আমলে ডিমের হালি ছিল ১১ টাকা। অথচ এখন একটি ডিম ১১ টাকার বেশি। মুরগিতে লাভ হচ্ছে না। কারণ গবেষণা নেই। বাজেট স্বল্পতা। অনেক সময় বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের নামও বলা হয় না। বলে যে কৃষি উপকরণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইলিশ সংরক্ষণ তথা মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আমাদের আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। উৎপাদন ও সরবরাহে সমন্বয় করতে হবে।’

নোমান বলেন, ‘সরকার যাবে আসবে। কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। রফতানিমুখী উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা না হলে সংকটের সমাধান হবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে সংস্কার ও আধুনিক করা হয়েছে। ধান-চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ প্রকল্প করেছেন। যে কারণে উত্তরবঙ্গের ৯০ শতাংশ এলাকায় ফসল উৎপাদন বেড়েছে। তিনি ট্যাক্স মওকুফ করেছিলেন। কৃষির সেচের জন্য খাল খনন করেছিলেন। ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছিল।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সময় খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল। সেগুলো জনসংখ্যার অনুপাতে বেশি ছিল। আওয়ামী লীগ যা বলে তা সঠিক নয়। তাদের আমলে ১২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য রফতানি করেছিল। আমরা খালেদা জিয়ার শাসনামলে এসে তো আবার খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখেছিলাম। ফিশারিজ ও পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল।’

আজ মানুষ জেগেছে। তাদের ঘুমাতে দেওয়া যায় না মন্তব্য করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। আজকের খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। কারণ, তিনি বাইরে থাকলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হতো। কিন্তু আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। আজ মানুষ জেগেছে। তাদের ঘুমাতে দেওয়া যায় না। তাদের আরও উজ্জীবিত করতে হবে। আমরা বিজয়ের মুখোমুখি। ইনশাআল্লাহ আমাদের জয় হবে।’

লাইভস্টক সেক্টরের দিকে সরকারই ভালোভাবে নজর দেয় না মন্তব্য করে নোমান বলেন, ‘বিএনপির আমলে অনেক কাজ করা হয়েছে এই খাতে। সিলেট ও চট্টগ্রামে ভেটেরিনারি কলেজ করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। কৃষিবিদদের আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর এ্যাবের সভাপতি কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, এ্যাবের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, সদস্য সচিব ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ অন্যরা।

/জেডএ/এনএআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে ছাত্রদলের কর্মসূচি 
আটক আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ছাত্রদল নেতাকর্মীর
আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না: আমিনুল হক
সর্বশেষ খবর
আনচেলত্তির নিয়োগ ভালোভাবে নেননি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
আনচেলত্তির নিয়োগ ভালোভাবে নেননি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
নিজ বাড়ি থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইশরাককে মেয়র পদে শপথ করানোর দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ
ইশরাককে মেয়র পদে শপথ করানোর দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ
সর্বাধিক পঠিত
বিমানবন্দরে তিন উপদেষ্টা, জেরার মুখে দায়িত্বরতরা
সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগবিমানবন্দরে তিন উপদেষ্টা, জেরার মুখে দায়িত্বরতরা
হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি
হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি
বাড়লো স্বর্ণের দাম, বুধবার থেকে কার্যকর
বাড়লো স্বর্ণের দাম, বুধবার থেকে কার্যকর
রাতে চিয়া বীজ খেলে এই ৬ উপকার পাবেন
রাতে চিয়া বীজ খেলে এই ৬ উপকার পাবেন
সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ চালু
সোনালী ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট সুইচ চালু