দেশে ফিরেই নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবনে ফিরতে রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে তাকে অভিবাদন জানান লাখো নেতাকর্মী।
গাড়ি বহরের পেছনে মোটরসাইকেল বা হেঁটে না আসার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, জনস্রোতের কারণে তা ঠেকানো যায়নি। বিশেষ করে গুলশানে প্রবেশের পর দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি ভালোবাসায় অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। স্লোগান দিতে দিতে নেমে পড়েন মূল সড়কে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়।
বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও আশপাশের উঁচু ভবনের বাসিন্দারাও হাত নেড়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাকে বহনকারী বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকতা সেরে গুলশানের পথে রওনা দেন তিনি।
দলীয়প্রধানকে বরণে অনেকে সকাল থেকেই বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২ এর ৮০ নম্বর সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধ অবস্থান নেন।
জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি প্রদর্শন করেন কেউ কেউ। এ সময় স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ।
দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছে বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়ি বহর।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তার সফরসঙ্গীদের ছাড়া আর কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরদিন ৮ জানুয়ারি হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে সরাসরি দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। ১৭ দিন চিকিৎসার পর বড় ছেলের বাসায় উঠেন। পরবর্তীতে সেখানেই তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে।
সোমবার (৫ মে) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় কাতারের আমিরের দেওয়া রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
তার সাথে দেশে এসেছেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামীলা রহমান সিঁথি এবং চিকিৎসক ও মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যসহ ১৩ জন।