ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (নগর ভবন) নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিক সেবা ব্যাহত করে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হামলার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার (২৪) বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন চিরতরে বানচাল করে দেওয়া। এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারী যে বা যারাই হোক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ফ্যাসিসদের দোসররা হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানিয়ে যখন নাগরিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন থেকেই আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা শুরু করে। সব বাধা অতিক্রম করে সেবা চালু করা হয়।
তিনি বলেন, গত দুদিন ধরে সুন্দরভাবে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কারণে নগরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। এটি আমাদের প্রতিপক্ষ সহ্য করতে না পেরে নতুন কায়দায় নিজেদের চক্রান্ত বাস্তবায়ন করে।
ইশরাক বলেন, আজকে আমার নামে স্লোগান দিয়ে ফাসিস্টের উচ্ছিষ্ট সহযোগীরা নগর ভবনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে এবং যারা এতদিন আন্দোলনে অংশ নিয়ে সামনের সারিতে ছিলেন, তাদের হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়।
হামলা করে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে আমার নাম ব্যবহার করে একটি সুষ্ঠু সেবার পরিবেশ বিনষ্ট করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের এই ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে একটি বার্তা দেওয়া, যাতে তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে না আসে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, গোলাম কিবরিয়া রুবেল ও আরিফুজ্জামান প্রিন্সের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এরা ফ্যাসিবাদের দোসর। আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী। বিশ্বস্ত মাধ্যমে জানা গেছে, এরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গাড়িতেও চলাফেরা করতেন।
এর আগে হাসপাতালে এসে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর দেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
হামলায় তিনজনের অবস্থা গুরুত্ব জানিয়ে ইশরাক বলেন, একজনের বুকে ছুরি দিয়ে এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে, তার ফুসফুসে ছিদ্র হয়ে গেছে। অন্য দুজনের অবস্থাও গুরুতর। তাদের পায়ে বুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৮-১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মাথায় ও হাটুতে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে।
কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাতে গোনা দুই-একটি গণমাধ্যমে আজকের বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশ করেছে। এসব মিডিয়া হাউসে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়েছে। তারাই এভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।