আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদ শুধু ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডেই জড়িত নন, ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঢুকে জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সব তথ্য বের করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ নাসিম এ আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘করোনার মহাদুর্যোগের মধ্যেও একটি স্বস্তিদায়ক খবর জেলহত্যায় একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাজেদ গ্রেফতার হয়েছে। এতে দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও খুশি। দীর্ঘ পাঁচ যুগ পরে জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজন জঘন্য ও বিশ্বাসঘাতক খুনি মাজেদকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে বিচক্ষণতা ও সাহসের পরিচয় দিয়েছে, সেজন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়নের আগে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বের করতে হবে—কাদের নির্দেশে জেলখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই খুনি কীভাবে প্রায় কয়েক যুগ ভারতের কলকাতায় কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় আত্মগোপন করেছিল। সেই ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার। এটি ভালোভাবে করা হলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্য পলাতক খুনিদেরও খুঁজে বের করা সহজ হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমি এটা জেনে বিস্মিত হয়েছি, এই খুনির সহধর্মিণী একজন চিকিৎসক। তাকে এবং তার পরিবারকে সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একটি বাসা বরাদ্দ করা হয়েছিল। আজ নতুন করে প্রমাণিত হলো— জিয়াউর রহমানই ছিলেন এই খুনিদের মূল পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা।