রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ছাড়া তফসিল ঘোষণা না করতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছে ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম।
দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোমিনুল আমিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শনিবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে মতবিনিময় সভায় এসেছিলেন। তখন এই প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা।
দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসিচব মোমিনুল আমিন বলেন, আমরা চলমান সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের অন্যতম শরিক দল হওয়া সত্ত্বেও এই সভায় এসেছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের অনাস্থা থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসাবে আমরা গত বছর নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান কমিশন গত বছরের সংলাপের ফলাফল কী, সেটা আজ পর্যন্ত জাতির সামনে প্রকাশ করেনি। আমাদের কোনও প্রস্তাবনা তারা আমলে নেননি, এমনকি সংলাপের অগ্রগতি নিয়েও কোনও রাজনৈতিক দলকে অবহিত করেননি।
দাবি না মানলেও আবারও ইসিতে কেন এসেছেন, তার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি এখন পর্যন্ত আস্থাশীল নই; সেটা তুলে ধরে আমাদের সুনির্দিষ্ট দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতেই এখানে এসেছি। নির্বাচনের যথেষ্ট অনুকূল পরিবেশ নেই— গণমাধ্যমে পাঠানো এমন লিখিত বক্তব্যের উপর বর্তমান কমিশন এখনও অটল আছেন কিনা সেটাও আমরা জানতে চাই।’
মোমিনুল আমিন বলেন, ‘২৮ অক্টোবর আমরা দেখেছি, কীভাবে বিএনপি এবং অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমাবেশে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের আটক করা হয়েছে। দলটির তালাবদ্ধ কার্যালয়ে আজকের বৈঠকের চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে লগি-বৈঠা নিয়ে বিরোধীদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।’
মোমিনুল আমিন বলেন, ‘অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য আমাদের দ্বিতীয় প্রস্তাবনা ছিল— একাধিক দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণে আইন করা। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রচারণাকালীন সময়ে সবদলকে গণমাধ্যমে সমান সুযোগ দেওয়ার নীতিমালা প্রণয়ন এই দাবিগুলোও বাস্তবায়িত হয় নাই।’
নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় ১৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যোগ দিয়েছে। বিএনপিসহ সরকার বিরোধী দলগুলোর ইসির এই মতবিনিময় সভা বর্জন করেছে। শনিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সকাল ১০টার দিকে আসেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে আরেক দফায় আরও রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন।