রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা কলোনি থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের উচ্ছেদ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এ ছাড়া দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে কীভাবে কলোনিতে তাদের জন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়, সেদিকে নজর দেওয়ার দাবি জানায় দলটি।
দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বহু আগে থেকেই অর্থাৎ যখন পৌরসভা ছিল, তখনও হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ ঢাকা শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত ছিল। যুগ যুগ ধরে তারা এ শহরকে পরিষ্কার রেখে নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গায় বংশানুক্রমে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন আছে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দল বংশালের মিরনজিল্লা কলোনিতে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে সংহতি জানাতে মিরনজিল্লা কলোনিতে উপস্থিত হয়।
সেখানে সাকি আরও বলেন, ‘আধুনিক মার্কেট নির্মাণের নাম করে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে একটা পরিবারকেও উচ্ছেদ করা চলবে না।’
মিরনজিল্লা কলোনিতে বসবাসরত ব্যক্তিদের জন্য নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ঢাকা শহরে নাগরিকদের জীবন সুন্দর করতে যারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন, তারা অত্যন্ত অমানবিক পরিবেশে জীবন যাপন করেন। নাগরিক হিসেবে তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত। আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে কীভাবে কলোনিতে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়, সেদিকে নজর দেওয়ার দাবি জানাই। আর তারা যদি সেদিকে নজর না দিয়ে গায়ের জোরে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখে, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. সেলিমুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডসহ নেতারা।