পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। বিবৃতিতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা সংঘটিত সংঘর্ষে হতাহত এবং দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের শীর্ষ দুই নেতা। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষায় রাজনৈতিক ঐক্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জেবেল রহমান গানি ও এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, জঙ্গিরা, বিপথগামী তরুণরা পাগোড়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই কুকি-চিন কাদের সৃষ্টি, কী তাদের প্রয়োজন– যারা পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করছে? এসব সমস্যা সমাধানে সরকারকে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা বলেন, যখনই পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো আর্থিক, অস্ত্র সংকটে পড়ে তখন তারা নিজেরা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। আর তখনই চাঁদাবাজি, লুঠতরাজ ও সহিংসতায় লিপ্ত হয় এবং তখন তাদের শক্তি, সার্মথ্য, সক্ষমতা জানান দিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিগত দিনের ঘটনাগুলো পর্যালোচনায় এমনটি প্রমাণিত হয়। যদি তাই না হয়, তাহলে শান্তি আলোচনার আড়ালে কেন অশান্তি সৃষ্টি হবে? এসব বিষয়ের রহস্য উদঘাটন করতে হবে।