আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর। তবে শেষ চার পাকাপোক্ত করার জন্য তাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালস-মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের দিকে। শনিবার দিল্লি হেরে গেলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে কোহলিদের। এই অবস্থায় মোস্তাফিজদের হারের প্রার্থনা করতে চাইবে কোহলিরা!
আজ জেতায় ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠেছে বেঙ্গালোর। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে অবস্থান দিল্লির। শনিবার জিতে গেলে পয়েন্ট সমান হলেও শ্রেয়তর রান রেটের কারণে শেষচার নিশ্চিত করবে মোস্তাফিজরা। তবে বেঙ্গালোর জিতে যাওয়ায় প্লে-অফের আশা শেষ হয়ে গেছে পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।
টস জিতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৮ রান করে গুজরাট। ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ২২ বলে ৩১ রান করলেও বড় স্কোরের জন্য অবদান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। ৪৭ বলে অপরাজিত ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাছাড়া ২৫ বলে ডেভিড মিলারের ৩৪ ও রশিদ খানের ৬ বলে করা ১৯ রানের টর্নেডো ইনিংস স্কোরবোর্ড বড় করতে ভূমিকা রাখে। ৩৯ রানে ২টি উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড।
জবাবে ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বেঙ্গালোর। যে জয়ের জন্য বড় অবদান বিরাট কোহলির। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
অথচ পড়তি ফর্ম নিয়ে এই ব্যাটার দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায়। তার পরেও ম্যাচের আগে বলেছেন, এই সময়টা উপভোগ করছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত উপভোগের মন্ত্রেই রানের দেখা পেলেন যেন! ওপেনিংয়ে নেমে ৫৪ বলে ম্যাচ জেতানো ৭৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন। যা তার এবারের মৌসুমে সর্বোচ্চ স্কোরও। তাতে ছিল ৮টি চার ও ২ ছয়ের মার।
কোহলির সঙ্গী হওয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও ৩৮ বলে ৪৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন। দুই ওপেনার মিলে ১১৫ রান যোগ করেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন ম্যাচটা। দলীয় ১১৫ রানে ফাফ ও কোহলি ১৪৬ রানে ফিরলে বাকি কাজ সারেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। তাতে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
অবশ্য ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেও প্রথম বলে সাজঘরে ফিরতে পারতেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু স্টাম্পে বলের আঘাতের পরেও বেলস না পড়ায় বেঁচে গেছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান।