লড়াইটা ছিল আফগানিস্তানের স্পিন বোলিং বনাম পাকিস্তানের পেস আক্রমণের। শুরুতে আফগান স্পিনাররা ঝলকই দেখিয়েছিল। পাকিস্তানকে প্রথমবার ওয়ানডেতে অলআউট করার কীর্তি দেখায় তারা। তাও আবার ৪৭.১ ওভারে তাদের ২০১ রানে গুটিয়ে। বল হাতে আলো ছড়ালেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল আফগান দল। পাকিস্তানের পেস আক্রমণে মাত্র ৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে। তাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান ১৪২ রানের বিশাল জয় পেয়েছে। ওয়ানডেতে এটি আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট সামনে রেখে এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায়। টস জিতে শুরুতে পাকিস্তান ব্যাট করতে নামলেও ব্যাটাররা বাবর আজমের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেনি। ২ ওভারেই ৭ রানে বিদায় নেন দু’জন। চতুর্থ বলে ফখরকে ফিরিয়ে ধস নামান পেসার ফজল হক ফারুকি। তার পর তো আফগান স্পিন ত্রয়ী মুজিব উর রহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণিতে পাকিস্তান খেই হারিয়েছে। তিনজন মিলে ৭ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে বিপদ সামলেছেন ইমাম উল হক। ৯৪ বলে ২ চারে ৬১ রান করেন তিনি। বাবর আজমও ব্যর্থ হয়েছেন আজ। শূন্য রানে ফিরেছেন। এছাড়া জুটি গড়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন ইফতিখার আহমেদ (৩০) ও শাদাব খান (৩৯)।
আফগান বোলারদের মধ্যে মুজিব ৩৩ রানে নিয়েছেন তিনটি। মোহাম্মদ নবী ৩৪ রানে দুটি ও রশিদ খান ৪২ রানে সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নেন ফজল হক ফারুকি ও রহমত শাহ।
তার পর আফগানদের একাই কাঁপিয়ে দিয়েছেন হারিস রউফ। তার পেস আক্রমণে ১৯.২ ওভারে ৫৯ রানে শেষ হয় আফগানিস্তানের ইনিংস। ডাবল ডিজিটে স্কোর করতে পেরেছেন মাত্র দু’জন। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৮ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৬।
রউফ ১৮ রানে ৫টি উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। ৯ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। একটি করে নিয়েছেন শাদাব খান ও নাসিম শাহ।