২০২২ সালে কাউন্টি ক্রিকেট মাতানো উইল জ্যাকসকে ভিড়িয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখানে খেলেই বিপিএলে অভিষেক হয় তার। এবার বড় অংকে কুমিল্লায় নাম লিখিয়েছেন। মিরপুরে খুলনা ও ঢাকার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও চট্টগ্রামে গিয়েই বিস্ফোরক এক ইনিংস খেললেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে কুমিল্লা যৌথভাবে বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পেয়েছে।
দুই বছর আগে বিপিএলে প্রথমবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে খেলা জ্যাকস সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও ছিলেন। ১১ ম্যাচে ১৫৫.০৫ স্ট্রাইকরেটে তার রান ছিল ৪১৪। প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করলেও আজ ছিলেন বিধ্বংসী ভূমিকায়। তার ব্যাট যেন হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর কোন তরবারি। তার সামনে চট্টগ্রামের কোন বোলার দাঁড়াতেই পারেনি। সবাইকে ‘কচু কাটা’ করে তুলে নিয়েছেন চলতি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বিপিএলে এটি ৩১তম সেঞ্চুরি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে দারুণ শুরু পায় কুমিল্লা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও উইল জ্যাকস মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেছেন ৮৬ রান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা লিটন যেভাবে চাচ্ছিলেন, সেভাবেই বাউন্ডারি পাচ্ছিলেন। তবে ৩১ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রানে থেমেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক। এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহীদ হৃদয় বিদায় নেন গোল্ডেন ডাকে। ব্রুকও (১০) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সেই চাপ বাড়তে দেননি মঈন আলী ও জ্যাকস। ৫৩ বলে এই দুই ব্যাটর মিলে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন। এই জুটির ওপর ভর করেই বিপিএলের সর্বোচ্চ ২৩৯ রানের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলে কুমিল্লা।
২০০৯ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাটিতেই রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানের সংগ্রহ করেছিল। ৫ বছর পর একই ভেন্যুতে সেই চট্টগ্রামের বিপক্ষেই এবার কুমিল্লা ২৩৯ রানের বড় সংগ্রহের দেখা পেলো। যদিও তারা ৩ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ করেছে।
জ্যাকস অবশ্য শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামের দর্শকদের চার-ছক্কার বিনোদন দিয়েছেন তিনি। শহীদুল ইসলামের ওয়াইড ইয়র্কারটি লং অফ দিয়ে খেলে বিশাল ছক্কায় মাত্র ৫০ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি জ্যাকসের তৃতীয় সেঞ্চুরি। চারের চেয়ে ছক্কার মার ছিল বেশি। ৫৩ বলে ৮ চার ও ১০ ছক্কায় জ্যাকস তার অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। অন্যদিকে ২৪ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন।