খেলায় যে ভাগ্যটাও পাশে থাকা লাগে তার তরতাজা সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ৪ রানে হেরেছে তারা।
নিউ ইয়র্কে ১১৪ রানের লো স্কোরের বিপরীতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে তুলতে পেরেছে মাত্র ১০৯ রান! বাংলাদেশ যে কয়টি রানের জন্য হার দেখেছে, সেটা তারা অনায়াসেই পেতে পারতো। দুর্ভাগ্য সেটা হয়নি বিতর্কিত এক আম্পায়ারিংয়ে। ঘটনাটা মূলত ১৭তম ওভারের। মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে স্ট্রাইকে ছিলেন। তখনই বার্টমানের বোলিংয়ে তাকে এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করেন আম্পায়ার স্যাম নোগাসকি। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেওয়ার মুহূর্তেই বলটা মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে চলে যায় ফাইন লেগ
বাউন্ডারিতে। যেহেতু আম্পায়ার তাকে আউট ঘোষণা করেছিলেন, তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী বলটা ডেড হয়ে যায়। যদিও ডিআরএসে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা টেকেনি। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে এর মাশুল দিতে হয়েছে পুরো বাংলাদেশ দলকেই।
পুরো বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বাংলাদেশে কোচ হিসেবে কাজ করা ওয়াসিম জাফরও কথা বলেছেন বিষয়টি নিয়ে। ম্যাচের পর বাংলাদেশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহকে ভুলভাবে এলবিডাব্লিউ দেওয়া হয়েছে। লেগ বাইয়ে চার রানও হয়েছে। সিদ্ধান্তটা ডিআরএসে পাল্টালেও বাংলাদেশ কিন্তু চার রান পায়নি। কারণ বলটা ডেড হয়ে যায়, সেটা আম্পায়ার ভুল আউট দেওয়ার পরও। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ রানের জয় নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছে। বাংলাদেশের ভক্তদের জন্য খুব খারাপ লাগছে।’
শুধু ওয়াসিম জাফরই নন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটও ফেসবুকে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে লিখেছেন। একইভাবে লিখেছেন পেসার রুবেল হোসেনও।