স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে): বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ ওভারে ২৮৩/৭, বাংলাদেশের লিড ৮১ রান (নাঈম ১৬*, মিরাজ ৮৭*; সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৩, মুশফিক ৩৩, জয় ৪০, লিটন ৭, জাকের ৫৮)
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮.৪ ওভারে ৩০৮/১০, লিড ২০২ (রাবাদা ২*; মারক্রাম ৬, স্টাবস ২৩, বেডিংহ্যাম ১১, ডি জর্জি ৩০, ব্রিটজকে ০, রিকেলটন ২৭, মুল্ডার ৫৪, মহারাজ ০, পিয়েট ৩২, ভেরেইন ১১৪)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪০.১ ওভারে ১০৬/১০ (হাসান ৪*; সাদমান ০, মুমিনুল ৪, শান্ত ৭, মুশফিক ১১, লিটন ১, মিরাজ ১৩, জয় ৩৩, জাকের ২, নাঈম ৮, তাইজুল ১৬)
বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় পুরোপুরি খেলা হয়নি তৃতীয় দিন। মাঠে গড়িয়েছে ৫৭.৫ ওভার। তার পরেও মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায় দারুণ একটি দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। সকালের শুরুতে জয়, মুশফিক ও লিটনের বিদায়ে জেগেছিল ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায়। ১০১ রানে পিছিয়ে দিন শুরু করলেও সেই শঙ্কা দূরে ঠেলে বাংলাদেশ লিডের পথে এগিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ দৃঢ়তায়। জাকের আলীকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েছেন। অভিষিক্ত জাকের আলী ৫৮ রানে ফিরলে নাঈমকে নিয়ে আবার প্রতিরোধ গড়েছেন তিনি। মাঝে একবার বৃষ্টিতে ঘণ্টাখানেকের মতো নষ্ট হয়েছে। পরে শেষ দিকে আলোর স্বল্পতায় ম্যাচই শুরু করা যায়নি। তার আগে বাংলাদেশ ৮১ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। মিরাজ ক্রিজে আছেন ৮৭ রানে। নাঈম ব্যাট করছেন ১৬ রানে। এই জুটি এখনও অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানে।
আলোর স্বল্পতায় আবার বন্ধ খেলা
তৃতীয় সেশন শুরুর পর আলো কম থাকায় স্পিনারদের দিয়েই বল করতে বাধ্য হয় প্রোটিয়ারা। ৫ ওভার খেলা হলেও আলোর স্বল্পতায় আবার বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। তার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ৮১ রানের। জাকের আলী ফিরলেও অষ্টম উইকেটে জুটি গড়ে খেলছেন নাঈম হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা অবিচ্ছিন্ন আছেন ৩৩ রানে।
বৃষ্টি বিরতির পর শুরু হয়েছে খেলা
বৃষ্টি ও ভেজা মাঠের কারণে এক ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনের খেলা। চা বিরতিও নেওয়া হয়েছে বৃষ্টির মাঝে। আম্পায়ারদের মাঠ পর্যবেক্ষণের পর খেলা শুরু হয়েছে দুপুর ৩টায়।
বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা
সকাল থেকেই মেঘলা ছিল আকাশ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা ছিল। দ্বিতীয় সেশনে ৮০তম ওভার শেষ হতেই মিরপুরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তাই খেলা আপাতত বন্ধ রয়েছে। কভার দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে উইকেট। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান। স্বাগতিকদের লিড ৬৫ রানের। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭* রানে ব্যাট করছেন। সঙ্গে আছেন নাঈম হাসান ১২*।
জাকের আলীর আউটের পর রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নাঈম
জাকের আলীকে ফিরিয়ে একই ওভারে নতুন ব্যাটার নাঈম হাসানকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছিলেন মহারাজ। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলেছিলেন। তখন রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন নাঈম।
১৩৮ রানের জুটি ভাঙলো জাকের আলীর বিদায়ে
প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে এর পর লড়াই করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড শতরান ছাড়ানো জুটিতে দলকে লিডের পথে তুলেছেন তারা। ১৩৮ রানের সেই জুটি ভেঙেছে জাকের আলীর বিদায়ে। কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন তিনি। জাকের রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। অভিষেক টেস্টে ফিফটি পাওয়া জাকির ১১১ বলে ৫৮ রানে আউট হয়েছেন। তাতে ছিল ৭টি চারের মার।
অভিষেক টেস্টে জাকের আলীর ফিফটি
লাঞ্চ থেকে ফিরেই লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলীর শতরান ছাড়ানো জুটি প্রোটিয়াদের ওপর কর্তৃত্ব অব্যাহত রেখেছে। জাকের আলী অভিষেক টেস্টে দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির। তিনি ১০২ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন।
মিরাজ-জাকেরের লড়াইয়ে লিড নেওয়ার কাছে বাংলাদেশ
তৃতীয় দিনে সকালের শুরুতে জয়, মুশফিক ও লিটনের দ্রুত বিদায়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চাপে পড়ে যাওয়া মুহূর্তেই লড়াকু এক ফিফটিতে বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকের আলীর সঙ্গে সপ্তম উইকেটে উপহার দেন রেকর্ড জুটি। ৮৯ রানে অবিচ্ছিন্ন থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন তারা। তাদের ব্যাটিংয়েই সব শঙ্কা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন লিড নেওয়ার কাছে। লাঞ্চে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০১ রান। বাংলাদেশ পিছিয়ে মাত্র ১ রানে। জাকের আলী অপরাজিত আছেন ৩০* রানে, মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট করছেন ৫৫* রানে।
দারুণ ব্যাটিংয়ে মিরাজের ফিফটি
ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে তুলতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ারের নবম ফিফটিতে সপ্তম উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে গড়েছেন প্রতিরোধ। উপহার দিয়েছে রেকর্ড জুটি। মিরাজ ফিফটি তুলে নিয়েছেন ৯৪ বলে।
পঞ্চাশ ছাড়ালো মিরাজ-জাকের জুটি
তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধারে প্রতিরোধ গড়ে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী। সপ্তম উইকেটে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েছেন দুজন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে যা সর্বোচ্চ।
দ্রুত লিটনকে হারিয়ে ভীষণ বিপদে বাংলাদেশ
একই ওভারে দুই সেট ব্যাটার জয়, মুশফিকের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখন অনেক কিছু নির্ভর করছিল অভিজ্ঞ লিটন দাসের ওপর। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। ৩৪.৫ ওভারে কেশভ মহারাজের বলে গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেছেন মাত্র ৭ রানে। অবশ্য রিভিউ নিয়েই প্রোটিয়ারা লিটনকে ফেরাতে পেরেছে। শুরুতে মহারাজের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ মুহূর্তে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম রিভিউ নিলে মেলে সাফল্য। তখন দেখা যায় লিটন ডিফেন্ড করতে গেলে মহারাজের বল লিটনের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়েছে ভেরেইনের হাতে।
দিনের শুরুতেই রাবাদার আঘাতে ফিরলেন জয়, মুশফিক
গতকাল তৃতীয় ওভারেই জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেছিলেন কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় দিনের শুরুতেও একইভাবে আঘাত হানলেন তিনি। ভেঙেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধ। তৃতীয় দিন নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই জয়কে ৪০ রানে প্রথম স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন। তাতে ভাঙে ৪৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এক বল পর দারুণ ডেলিভারিতে মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধও ভাঙেন তিনি। তাতে দিনের শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে স্বাগতিক দল।
আলোর স্বল্পতায় দ্বিতীয় দিন খেলা শেষ হয়েছে আগেভাগে। তার আগে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করে। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০১ রান। এই রান নিয়েই তৃতীয় দিন ভালো কিছুর আশায় মাঠে নেমেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় (৩৮) ও মুশফিকুর রহিম (৩১)।
৪ রানে দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। শান্তর বিদায়ে ভাঙে ৫৫ রানের দারুণ জুটি। শান্ত-জয়ের জুটি ভাঙার পর মুশফিকুর রহিম আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়েছেন। তার ব্যাটে রান উঠে দ্রুত। গতকাল আবার টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন মুশফিক।