বেশ কয়েকবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) খেলার সুযোগ পেয়েও সেখানে যাওয়া হয়নি তাসকিন আহমেদের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল। তাতে সুযোগ পাওয়া মানে বিরাট কিছু। কিন্তু বার বার সুযোগ পেয়েও খেলতে না পারাটা হতাশার। কিন্তু বাংলাদেশের সেরা এই পেসার জানালেন, সুযোগ না পাওয়াতে মোটেও হতাশ নন তিনি।
২০২২ সালে চোটে পড়ে আইপিএল থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টস থেকে ছিটকে যান ইংল্যান্ডের মার্ক উড। তার পরিবর্তে তখন তাসকিনকে প্রস্তাব দেয় লখনউ। কিন্তু তখন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলায় তাকে মাঝপথে ছাড়তে চায়নি বিসিবি। ২০২৪ আইপিএল নিলামে নাম দিয়েও আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে নাম তুলে নেন। তারপরও তাসকিনকে দলে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু তাসকিনের যাওয়া হয়নি। এবার আসন্ন পিএসএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম নিলামে উঠলেও তাকে কেনার ব্যাপারে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। শুধু লিটন দাস, নাহিদ রানা আর রিশাদ হোসেন খেলবেন পাকিস্তান সুপার লিগে। তবে দল না পেলেও হতাশ নন তাসকিন। সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘হতাশার কী আছে? সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যদি নিজের দেশকে ভালোমতো সেবা দিতে পারি, যেখানেই খেলি, যদি ভালো করতে পারি, সুযোগ অনেক আসবে। এর আগে তো তিনবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েও যেতে পারিনি। হতাশা থাকলে এত দিনে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়ার কথা। আমি একদমই হতাশ নই।’
দুর্বার রাজশাহীতে থাকা পাকিস্তানি কোচ এজাজ আহমেদ ও ওপেনার হারিস সোহেল তাসকিনকে নিজেদের দলে নিতে আগ্রহও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ড্রাফট থেকে তাকে দলে নেয়নি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিদেশি লিগে অংশগ্রহণ নিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘হতাশ না। হতাশার কী আছে? সবচেয়ে বড় বিষয় আমি যেন জাতীয় দলে নিজের সেরাটা সার্ভ করতে পারি। যেখানেই খেলতে পারি, যদি ভালো করতে পারি সুযোগ অনেক আসবে।’
বিপিএলে রাজশাহীর হয়ে ২০ উইকেট পাওয়া তাসকিন এখনও পিএসএলের আশা ছাড়ছেন না, ‘হয়তো ড্রাফটে নেয়নি। কোথাও রিপ্লেসমেন্টে প্রয়োজন হলে নিতেও পারে। আমার সঙ্গে সরাসরি কারও কথা হয়নি। এটা ব্যক্তিগতভাবে হয়ও না। এজেন্টের মাধ্যমে হয়।’