পাওয়ার প্লেতে ব্যাট-বলে নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও পেরে উঠেনি পাকিস্তান। তাদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে স্বাগতিক দল এগিয়ে গেছে।
ডানেডিনে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পরিধি নেমে আসে ১৫ ওভারে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই চেপে ধরে কিউই দল। চার ওভারের মধ্যে ১৯ রানে তুলে নেয় দুই উইকেট। চতুর্থ বলে বিদায় নেন ওপেনার হাসান নওয়াজ (০)। মোহাম্মদ হারিস বিদায় নেন ১১ রানে। তার পর নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক সালমান আগা ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৩টি ছয়।
মাঝের ওভারে শাদাব খানও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন। ১৪ বলে খেলেছেন ২৬ রানের ইনিংস। তাছাড়া উল্লেখযোগ্য ক্যামিও ইনিংস খেলেন শাহীন আফ্রিদি। ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সালমান, শাদাব ও শাহীনের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেটে ১৩৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারী দল। কিউইদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জ্যাকব ডাফি, বেন সিয়ার্স, জেমস নিশাম ও ইশ সোধি।
জবাবে খুশদিল শাহ ও হারিস রউফ ইকোনমিক্যাল স্পেল উপহার দিলেও স্বাগতিক ব্যাটারদের আধিপত্যের সামনে তারা পেরে উঠেনি। ১৩.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড জয় নিশ্চিত করে।
ওপেনিং জুটিতেই জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন টিম সেইফার্ট। ম্যাচসেরাও তিনি। ফিন অ্যালেনকে নিয়ে ৬৬ রান যোগ করেছেন। সেইফার্ট ২২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ রানে ফিরলে ভাঙে শুরুর জুটি। ফিন ফ্যালেনও ১৬ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার ফেরার সময় দলের স্কোর ছিল ৮৭ রানে দুই উইকেট। দ্রুত সময়ে মার্ক চ্যাপম্যান (১), জেমস নিশাম (৫) আউট হলেও জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। তার পর দলকে এগিয়ে নেন ড্যারিল মিচেল ও মিচেল হে। মিচেল ১৪ রান করে জয়ের কাছে গিয়ে আউট হয়েছেন। ২১ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিচেল হে। তার ১৬ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়। সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল।
হারিস রউফ ২০ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ আলী, খুশদিল শাহ ও জাঁহাদাদ খান।