ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। শেষ ওভারে সেঞ্চুরি তুলে দলকে জয়ের বন্দরে নেন আব্দুল মজিদ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রূপগঞ্জের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। অন্যদিকে মজিদের সেঞ্চুরির জন্য লাগতো ৮ রান। দুটো সমীকরণই মিলিয়ে ৪ উইকেটে রূপগঞ্জকে জেতান তিনি।
বুধবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পারটেক্স ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ রানে ওপেনিং জুটি গড়ে রূপগঞ্জ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মজিদ ও আসাদুল্লাহ গালিব মিলে ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। যদিও মিডল ওভারে চাপে পড়ে গিয়েছিল রূপগঞ্জ। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৩৩ রানের প্রয়োজন ছিল। সেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেন মজিদ ও আরিফুল হক। জয় থেকে দশ রান দূরে থাকতে আরিফুল ৪৯তম ওভারে ৩৪ রান করে আউট হন। তাতে তাদের জুটি দাঁড়ায় ৪৯ রানের।
শেষ ওভারে রূপগঞ্জের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রান, মজিদ তখন অপরাজিত ৯২ রানে। শেষ বলে দলের প্রয়োজন ৩ রান, অন্যদিকে মজিদের প্রয়োজন হয় ৪ রানের। দুই সমীকরণ মিলিয়ে শেষ বলে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। ১২৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন মজিদ।
পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে আহরার আমিন পায়েন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন জাওয়াদ রোহান, তানভীর হোসেন ও আলাউদ্দিন বাবু।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পারটেক্সের দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও রুবেল মিয়া মিলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটির পর ধস নামে পারটেক্সের ব্যাটিং অর্ডারে। সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন জয়রাজ শেখ। রুবেল মিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৫২ রানের ইনিংস।
রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে আল আমিন জুনিয়র ১৭ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মাহমুদুল হাসান ৪৬ রানে তিনটি উইকেট নেন। এর বাইরে মঈনুল ইসলাম, জীবন ও হুসনা হাবিব মেহেদী প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।