গত বছর সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি লিগে সমারসেটের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ঝামলোয় পড়েন সাকিব আল হাসান। এরপর দুই দফা বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বারের চেষ্টায় পাশ করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডে আইসিসি স্বীকৃত ল্যাবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে বৈধতা ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘গত ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেন সাকিব। সর্বশেষ মূল্যায়নের ফলাফল অনুসারে, সাকিব তার বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করেছেন এবং এর ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাদের প্রতিযোগিতামূলক সব কাউন্টি ক্রিকেট এবং দ্য হান্ড্রেড থেকে সাকিবের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইসিবি শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিস্তারিত মিডিয়া বিজ্ঞপ্তি আকারে জানাবে।
এদিকে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন বৈধ ঘোষণা করার পর বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারসহ কোচদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। বিসিবির একাডেমি ভবনে আজ সংবাদমাধ্যমকে শেখ মেহেদী বলেছেন, ‘সাকিব ভাই নিজের বোলিং নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এত বড় ক্রিকেটার, এত বছর ক্রিকেট খেলার পর শেষদিকে এসে তার বোলিংয়ে সমস্যা ধরা পড়েছিল। কাল সংবাদটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আশা করি, তিনি দ্রুত ক্রিকেটে ফিরবেন, আমাদের দেশের হয়ে খেলবেন এবং ঘরোয়া লিগেও অংশ নেবেন।’
সাকিবকে নিয়ে আবাহনীর কোচ হান্নান সরকার বলেছেন, ‘সাকিব পাশ করেছে মানে সে এখন পূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে ফিরে এলো। এত দিন কেবল ব্যাটিং করার সুযোগ ছিল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সে বোলিংয়ের জন্য প্রস্তুতই ছিল। তিন দিন আগেই আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। যদি দেশে থাকতো, তাহলে এখানেই বোলিং শুধরানোর কাজ করতে পারতো। তবে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের বৈধতা ফিরে পাওয়াটা বড় স্বস্তির খবর।’
তৃতীয়বারের পরীক্ষার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান সাকিব। সেখানেই হোটেলে থেকে দুই সপ্তাহ ওভালে অনুশীলন করেন তিনি। অনুশীলনে সাকিবকে সবরকমের সাহায্য করেছে সারে। গত ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। যেখানে পরীক্ষায় মোট ২২টি ডেলিভারি করেছেন সাকিব। যার সবগুলোই বৈধ। ফলে লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্টের পর নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিলেছে সাকিবের।