চেন্নাই সুপার কিংস ঘরের মাঠে দারুণ শুরু করেছিল। চলতি মৌসুমে দ্বিতীয়বার দুইশ পার করার আভাস দিয়েছিল তারা। কিন্তু যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকের ধাক্কায় তা আর হয়নি। তারপর প্রভসিমরান সিং ও শ্রেয়াস আইয়ারের হাফ সেঞ্চুরিতে দুই বল বাকি থাকতে জিতে গেছে পাঞ্জাব কিংস। আর ঘরের মাঠে পঞ্চম পরাজয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ থেকে ছিটকে গেছে চেন্নাই।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাই স্যাম কারানের ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহের আভাস দিলেও ১৯.২ ওভারে ১৯০ রানে অলআউট হয়। লক্ষ্যে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে পাঞ্জাব। ১০ ম্যাচে ষষ্ঠ জয় ও একটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে তারা। শীর্ষ দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনে পাঞ্জাব।
চেন্নাই দুই ওপেনারকে হারায় তিন বলের মধ্যে। রবীন্দ্র জাদেজাও পাওয়ার প্লের মধ্যে আউট হলে কারান ও ডেভাল্ড ব্রেভিসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। দুজনের ৫০ বলে ৭৮ রানের জুটি ভেঙে যায় ব্রেভিস ৩২ রানে আউট হলে। এরপর ২২ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন কারান, তার অন্য প্রান্তের সঙ্গী শিবম দুবে কেবল এই জুটিতে ৪ বল খেলে ২ রান করেন।
১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৭২ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়েন কারান। ৪৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৮৮ রান করে মার্কো ইয়ানসেনের শিকার হন তিনি।
পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে চাহাল সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দেন। ওই ওভারে এই স্পিনার হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেট নেন। ছয় নম্বরে নামা দুবে মাত্র ৬ বল খেলে ৬ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন।
চাহাল ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান আর্শদীপ সিং ও ইয়ানসেন।
লক্ষ্যে নেমে প্রিয়ানশ আরিয়াকে নিয়ে ২৮ বলে ৪৪ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন প্রভসিমরান। আরিয়া ১৫ বলে ২৩ রান করে আউট হলে তাকে নিয়ে শ্রেয়াস দাঁড়িয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ বলে ৭২ রানের জুটিতে শক্ত অবস্থান নেয় পাঞ্জাব।
৩৬ বলে ৫৪ রান করে থামেন প্রভসিমরান। নেহাল ওয়াধেরা (৫) বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি শ্রেয়াসকে। অধিনায়কের সঙ্গে শশাঙ্ক সিংয়ের জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন ভালোভাবে দেখতে শুরু করে অতিথিরা।
১৮ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন শশাঙ্ক ও শ্রেয়াস। টানা তিন ওভারে তারা দুজনসহ ৩ উইকেট পড়লে চেন্নাইয়ের গ্যালারিতে আশার জাগরণ উঠেছিল, বিশেষ করে স্কোরে সমতা আসার পর ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর। তবে ইয়ানসেন তার দ্বিতীয় বলে চার মেরে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন।
৪১ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন শ্রেয়াস, ৫ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো ছিল অধিনায়কের ইনিংস। ১২ বলে ২৩ রান করেন শশাঙ্ক।
আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার টানা পাঁচটি হোম ম্যাচ হারলো চেন্নাই।