স্কোরবোর্ডে দুইশ রান নয়, তবুও ম্যাচ হলো জমজমাট। ১৫৬ রানের লক্ষ্যে বৃষ্টি নামার পর সহজ জয়ের সম্ভাবনা হাতছাড়া করতে বসেছিল গুজরাট টাইটান্স, আর ম্যাচ প্রায় নিজেদের দিকে নিয়ে ফেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর ম্যাচ শুরু হলে এক ওভারে ১৫ রান দরকার পড়ে গুজরাটের। শেষ বলেই লক্ষ্য ছুঁয়ে মুম্বাইয়ের টানা ছয় ম্যাচের জয়যাত্রা থামায় তারা।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গুজরাটের দারুণ বোলিংয়ে বিপাকে পড়ে মুম্বাই। ২৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় তারা।
সূর্যকুমার যাদব ও উইল জ্যাকসের ৭১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। সূর্যকুমার ৩৫ রান করে সাই কিশোরের শিকার হন। দুইবার জীবন পাওয়া জ্যাকস ৩৫ বলে ৫৩ রান করে থামেন।
শেষ দিকে করবিন বোশের ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংসে দেড়শ পার করে মুম্বাই। ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করে তারা।
লক্ষ্যে নেমে ৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও জস বাটলার ও শুবমান গিলের জুটিতে সহজ জয়ের ইঙ্গিত দেয় গুজরাট। ১২তম ওভারে বাটলার (৩০) বিদায় নিলে ভাঙে ৭২ রানের জুটি। তারপর গিল ও শেরফানে রাদারফোর্ডের জুটিতে সহজ জয়ের পথে ছুটতে থাকে তারা।
কিছুক্ষণ পর নামে বৃষ্টি। ফের মাঠে খেলা গড়াতেই ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যায়। বৃষ্টি আইনে বিরতিতে এগিয়ে থাকা গুজরাট জসপ্রীত বুমরার বলে পিছিয়ে পড়ে। টানা চার ওভারে ৪ উইকেট পড়ে তাদের, ১৩ রানের ব্যবধানে।
ফের বৃষ্টি নামার পর ১৯ ওভারে ১৪৭ রানের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ হলে শেষ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ১৫ রান। দীপক চাহারকে প্রথম বলে চার মারেন রাহুল তেওয়াতিয়া। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। পরের বলটি ছয় মেরে উত্তেজনা ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজি। চতুর্থ বল ওভারস্টেপিংয়ে নো হলে জয়ের বেশ কাছে পৌঁছায় গুজরাট। বৈধ চতুর্থ ডেলিভারিতে এক রান নেন রাহুল। পঞ্চম বলে কোয়েটজি আউট হলে আবার নাটক জমে ওঠে। শেষ বলে আরশাদ প্রয়োজনীয় এক রান নিয়ে গুজরাটকে জেতান।
১৯ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৭ রান করে গুজরাট। রাহুল ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪৬ বলে ৪৩ রান করার পাশাপাশি তিন ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা গিল।
১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠলো গুজরাট। এক ম্যাচ বেশি খেলে পঞ্চম হারে চারে নেমেছে মুম্বাই।