দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটালেন লোকেশ রাহুল। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দে ভাসালেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক। কিন্তু তার চমৎকার ইনিংস শেষ পর্যন্ত বিফলে গেলো। মোস্তাফিজুর রহমানদের বোলিং আক্রমণ ভোঁতা করে সাই সুদর্শন ও শুবমান গিলের ব্যাটে ১০ উইকেটের দারুণ জয় পেলো গুজরাট টাইটান্স।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলো গুজরাট। শুধু তাই নয়, প্লে অফও নিশ্চিত করেছে তারা। একই সঙ্গে ১৭ পয়েন্ট করে নিয়ে টেবিলের দুই ও তিনে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসও লিগ পর্বের বাধা পেরিয়ে গেছে। শেষ দল হিসেবে প্লে অফের জন্য লড়াইয়ে টিকে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস।
২০০ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৬ বলে সাই করেছেন সেঞ্চুরি। লক্ষ্য আরও বড় না হওয়ায় আক্ষেপ থেকে গেছে গিলের। আগেভাগেই গুজরাট পৌঁছে যায় লক্ষ্যে।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৬ রানে দিল্লির ওপেনিং জুটি ভাঙে। ফাফ ডু প্লেসি (৫) আরশাদ খানের শিকার হন। তারপর দ্বিতীয় উইকেটে অভিষেক পোড়েলকে (৩০) নিয়ে রাহুল ৯০ রানের জুটি গড়েন। অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেলের (২৫) সঙ্গে এই ওপেনার যোগ করেন ৪৫ রান।
ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে করে ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে রাহুল ৬০ বলে ১২ চার ও ৪ ছয়ে সেঞ্চুরি করেন। ৬৫ বলে ১১২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। স্টাবস ২১ রানে খেলছিলেন।
৩ উইকেটে ১৯৯ রান করে দিল্লি।
২০০ রানের লক্ষ্য দিয়ে কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি দিল্লির বোলাররা। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বদলে ইম্প্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নেমে সাই ঝড় তোলেন। ৩০ বলে তিনি ফিফটি করেন, পঞ্চাশ ছুঁতে গিল তার চেয়ে তিনটি বেশি বল খেলেছেন।
৫৬ বলে ১২ চার ও ৩ ছয় ১০০ করেন সাই। ২০৫ রানের ওপেনিং জুটিতে এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে গুজরাট। ৬১ বলে ১২ চার ও ৪ ছয়ে ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সাই। ৫৩ বলে ৪ চার ও ৭ ছয়ে ৯৩ রানে খেলছিলেন গিল।
বোলারদের অসহায় আত্মসমর্পণের দিনে সবচেয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন মোস্তাফিজ। তিন ওভারে ২৪ রান দিয়েছেন তিনি।