বাঁচামরার লড়াইয়ে ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টস ২০৫ রানে বড় সংগ্রহ করেও টিকতে পারলো না। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে তাদের মাথায় হাত। ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতে লখনউকে বিদায় করলো ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
লখনউর ৯ ব্যাটার ক্রিজে নেমেছিলেন। তাদের মধ্যে ছয় জনের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তবুও স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে জমা হলো ২০৫ রান!
অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন মিচেল মার্শ ও এইডেন মার্করাম। দুজনের ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৫ রান। ১০.৩ ওভারে ভাঙে এই জুটি। ৩৯ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছয়ে ৬৫ রান করে আউট হন মার্শ।
তারপর ঋষভ পান্ত মাত্র ৭ রানে আউট হলে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে দলীয় স্কোর দেড়শ পার করে থামেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ৩৮ বলে চারটি করে চার-ছয়ে ৬১ রানে থামেন।
পুরানের ২৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ রানের সৌজন্যে লখনউ দুইশর বেশি রান করার সম্ভাবনা জাগায়। ইনিংসের শেষ বলে আকাশ দীপ একমাত্র বল খেলে ছক্কা মেরে স্কোর ২০৫ করেন।
লখনউর সাত উইকেটের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি নেন এহসান মালিঙ্গা।
লক্ষ্যে নেমে হায়দরাবাদ দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার অথর্ব তাইদেকে হারায়। ১৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলে ইশান কিষাণকে নিয়ে আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা ৮২ রানের জুটি গড়েন। মাত্র ২০ বলে চারটি চার ও ছয়টি ছয়ে ৫৯ রান করে আউট হন তিনি।
প্রথম পাঁচ ওভারে ৫৮ রান করা হায়দরাবাদ পরের দুই ওভারে ৪০ রান তুলেছিল। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লখনউ। এর মধ্যে রবি বিষ্ণয়কে টানা চারটি ছয় মেরে ১৮ বলে ফিফটি করেন অভিষেক।
ইশানের ৩৫ রানের সংগ্রামী ইনিংস শেষ হলে দায়িত্ব নেন দুই বিদেশি ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকার আইনরিখ ক্লাসেনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস যোগ দিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। এর মধ্যে ১৪তম ওভারে প্রথম তিন বলে দিগভেশ রাঠিকে চার মারেন লঙ্কান ব্যাটার। ওই ওভারে ১৭ রান এলে চাপ কমে যায় হায়দরাবাদের ওপর থেকে।
দলকে জেতার মতো অবস্থায় রেখে তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন ক্লাসেন। ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে চার মেরে তৃতীয় বলে আউট হন তিনি ৪৭ রান করে। তার ২৮ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়। মেন্ডিসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৬ বলে ৫৫ রানের।
আর পাঁচ বল খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় হায়দরাবাদ। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে চার মারেন নিতিশ রেড্ডি। পরের বলে জয়সূচক সিঙ্গেল নেন তিনি।
১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে হায়দরাবাদ।
১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাতে লখনউ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম হায়দরাবাদ। প্লে অফের জন্য এখন একটি মাত্র জায়গা ফাঁকা, সেই লড়াইয়ে কেবল টিকে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস।