X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলার মিজানের হতাশা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩১আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩৬

সাবেক স্ট্রাইকার মিজানুর রহমান একসময় ছিলেন ঢাকার ফুটবলের তারকা, খেলেছেন জাতীয় দলে। অবসরের পর চলে যান কানাডায়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরা মিজানুর রহমান ফুটবলের টান এড়াতে পারেননি। স্বাধীনতা কাপের খেলা দেখতে চলে এসেছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। দেশের ফুটবলের দৈন্য দশায় সাবেক স্ট্রাইকার হতাশ, ব্যথিত।

১৯৮৮ সালে ইয়াংমেন্স ফকিরেরপুল ক্লাবের হয়ে মিজানের ক্যারিয়ার শুরু। পরের বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে সুযোগ পান বাংলাদেশ সবুজ দলে। মিজান-আয়াজদের মতো তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি দুর্দান্ত খেলেছিল ওই টুর্নামেন্টে। ১৯৮৯ সালেই ইসলামাবাদ সাফ গেমসে জাতীয় দলের হয়ে খেলার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত একটানা প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশকে।

ঘরোয়া ফুটবলে মিজানের ক্যারিয়ার দারুণ সমৃদ্ধ, খেলেছেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলে। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ছিলেন মোহামেডানে, আর ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত আবাহনীতে। মাঝে ১৯৯২ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে খেলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে। ১৯৯৯ সালে ব্রাদার্সে খেলে বিদায় জানিয়েছেন ফুটবলকে।

কলকাতার বিখ্যাত ক্লাব ইস্টবেঙ্গলেও খেলেছিলেন মিজান। ১৯৯৪ সালে মোনেম মুন্না আর রকিবের সঙ্গে তাকেও নিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। সেখানে ভারতের বিখ্যাত স্ট্রাইকার বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আইএফএ শিল্ড জয়ের (ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল ঢাকা মোহামেডান) মধুর স্মৃতিও আছে তার।   

সোমবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে এসে কিছুটা আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়লেন মিজান। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, ‘সেই সময়ের কত স্মৃতি! তখন ফুটবলের ছিল জমজমাট অবস্থা। দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই খেলেছি, সম্মান পেয়েছি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডানের হয়ে খেলেছি, ইস্টবেঙ্গলেও জনপ্রিয়তা পেয়েছি।’

তিনি যখন খেলতেন, গ্যালারি প্রায় ভরা থাকতো। অথচ এখন আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচেও দর্শক হয় না। দেশের ফুটবলের এমন দুরবস্থায় মিজান ভীষণ হতাশ, ‘বিদেশে থাকলেও দেশের সব খবর পাই, সব চ্যানেল দেখি। আমি দেশ ছাড়ার সময়ই ফুটবলের জনপ্রিয়তায় ধস নামছিল। আজ মাঠে এসে খুব খারাপ লাগছে। এমন শূন্য গ্যালারি দেখতে হবে ভাবতেই পারিনি। সালাউদ্দিন ভাই বাফুফে সভাপতি হওয়ার পর মনে করেছিলাম, ফুটবলের ভাগ্য বদলাবে। কিন্তু কিছুই তো দেখছি না, বরং আরও হতাশ হতে হচ্ছে। এমন দর্শকশূন্য মাঠ কে দেখতে চায়!’

মিজানের মতো বেশ কয়েকজন সাবেক তারকা ফুটবলারের ঠিকানা কানাডা। এনায়েত, মহসিন, রুমি, হাফিজ, কার্জন, আয়াজ, রকিব পাড়ি দিয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটিতে। মিজান বললেন, ‘সাবেক ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ফুটবলের কথা উঠলেই কষ্ট লাগে। ফুটবলের এমন দুরবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।’

/টিএ/এএআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা