সেশেলস কোচ নেভিল বোথ আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। সেখান থেকেই কি না বলছিলেন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ দলে এলিটা কিংসলে শুরু থেকে খেলুক। এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার প্রথম একাদশে থাকলেও তাদের কোনও সমস্যা হবে না, হয়তো সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। বোথের যে নিজ দলের ওপর অনেক আস্থা, তা আজ প্রমাণ করে ছাড়লেন। প্রথম ম্যাচে হারের পর আজ ‘প্রতিশোধই’ নিয়ে ফেললো পূর্ব আফ্রিকার ছোট দ্বীপ দেশটি।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা পেশাদার। জাতীয় দলে খেলা খেলোয়াড়রা উঁচু পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। বিপরীতে সেশেলস দলটি শৌখিন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। চাকরির অবসরে মনের আনন্দে ফুটবল খেলে থাকেন। ফুটবল খেলে সেভাবে কোনও অর্থ পান না। কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে তাতেই আনন্দ খুঁজে বেড়ান।
দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ ড্র করে সেশেলস যেন বড় রকমের উৎসবই করলো। মেডেল ও যৌথ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে মঞ্চে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে রইলো সবাই। তাদের কোচ বোথ তো ম্যাচ জিতে বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচ হারের পর আমরা পর্যালোচনা করেছি, কেন হারলাম! বাংলাদেশের শক্তিশালী ও দুর্বল দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ আমরা ম্যাচ জেতার জন্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আগের দিনই তা বলেছিলাম। এই ম্যাচটা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ছিল।’
সেশেলস ম্যাচ জিতলেও এটাকে সেরা বলছে না ৫৩ বছর বয়সী কোচ, ‘এটা আমাদের সেরা ম্যাচ নয়। তবে ম্যাচ জিতে খুশি। জয়ের মানসিকতা ছিল। আমাদের শেষ মিনিটে গোল আরও বাড়তে পারতো। বাংলাদেশেরও সুযোগ ছিল গোল করার। কিন্তু পারেনি।’
বাংলাদেশ ও সেশেলসের মধ্যে কোনও পার্থক্য দেখছেন না বোথ, ‘কোনও পার্থক্য নেই। দুই বিভাগে, পেশাদার কিংবা অপেশাদার। আমি দুইদলের মধ্যে সেভাবে কোনও পার্থক্য দেখি না। আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। ওরাও পেয়েছে।’