ইউরোয় ঘাম ঝরানো ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পে পুরোভাগে খেলতে পারেননি। ফরাসি অধিনায়ক অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের আগেই বদলি হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তাই টাইব্রেকারেও দেখা যায়নি তাকে। পরে জানিয়েছেন, ভীষণ ক্লান্ত থাকার কারণে নিজ থেকেই মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে শুটআউটে পর্তুগালের বিপক্ষে ৫-৩ গোলে জিতে সেমি নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। ম্যাচের পর এমবাপ্পে বলেছেন, ‘আমি নিজ থেকেই উঠে যাওয়ার কথা বলি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের আগে কোচকে বলি আমি খুব ক্লান্ত।’
নাক ভাঙার পর থেকে সেরা ছন্দে নেই এমবাপ্পে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে স্পট কিক থেকে মাত্র একটি গোল করেছেন। বাকি ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। বরং প্রথম ম্যাচে নাক ভাঙার পর মাস্ক পরে খেলতে গিয়ে যে অস্বস্তিতে ভুগছেন, সেটা প্রকট হয়েই ধরা দিয়েছে। পর্তুগালের বিপক্ষেও মুখের পাশে বলের সজোরে আঘাতের পর কিছু সময়ের জন্য মাস্ক খুলেছিলেন। তার পর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর টাইব্রেকারেও ছিলেন না তিনি।
কোচও জানালেন এমবাপ্পের ক্লান্তির কথা, ‘সে সব সময় আমার এবং দলের সঙ্গে সৎ থাকে। বিশেষ করে যখন আর কুলিয়ে উঠতে পারে না। সে এখন সেরা ছন্দে নেই। খুবই ক্লান্তবোধ করেছে।’
তার পর অবশ্য সতীর্থরা ঠিকই গর্ব করার মতো উপলক্ষ এনে দিয়েছে তাকে। পাঁচ পেনাল্টি থেকে গোল করে পর্তুগালকে বিদায় করেছে। তাতে সাম্প্রতিক সময়ের টাইব্রেকার ব্যর্থতার ইতি ঘটেছে ফ্রান্সের। বিশেষ করে ২০২১ ইউরোতে শেষ ষোলোয় এবং ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে শুটআউটেই কপাল পুড়েছে তাদের। দেশমও শিষ্যদের পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি, ‘আমরা রক্ষণে নিখুঁত এবং উদাহরণ রাখার মতো ছিলাম। বড় টুর্নামেন্টে এটাই উপযুক্ত। যখন খুব বেশি গোল করবেন না, তখন বেশি গোলও হজম করা যাবে না।’