বিশ্বকাপ বাছাই জুড়েই আলোচনায় ব্রাজিলের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্স। সমালোচিত হচ্ছিলেন কোচ দরিভাল জুনিয়রও। বিশেষ করে আক্রমণভাগে তার সেটআপ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বুধবার অবশ্য সেসবের জবাব পেয়ে গেছেন তিনি। পেরুকে ৪-০ গোলে সহজেই হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ক্লাব ক্যারিয়ারে দারুণ সময় কাটানো রাফিনহা তুলে নিয়েছেন জোড়া গোল। শেষ দিকে আরও দুই গোলে ম্যাচটা নিশ্চিত করেছেন আন্দ্রিয়াস পেরেইরা ও লুইস হেনরিক। বাছাইয়ে এটি ছিল ব্রাজিলের টানা দ্বিতীয় জয়।
২৪ মিনিটেই গোল পেতে পারতেন রাফিনহা। দুর্ভাগ্য সেটি গিয়ে লাগে ক্রসবারে। বিরতির একটু আগে ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরশিটে নাম তুলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। পেরু ডিফেন্ডার হ্যান্ড বল করলে দীর্ঘ সময় ধরে ভার দিয়ে চেক করে নেন রেফারি। তার পরেই স্পট কিকের সিদ্ধান্ত আসে। ৪৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারতেন রদ্রিগো। কিন্তু তার চিপ সহজেই আয়ত্ত্বে নেন পেরু গোলকিপার।
বিরতির আবারও পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। বক্সে সাভিনহোকে ফাউল করেছিলেন জামব্রানো। এবারও স্পট কিক থেকে ৫৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন রাফিনহা। ৭১ মিনিটে লুইস হেনরিকের ক্রস থেকে দারুণ এক ভলিতে স্কোর ৩-০ করেন আন্দ্রেয়াস পেরেইরা। ৩ মিনিট বাদে নিজেই স্কোরশিটে নাম তুলেন লুইস হেনরিক।
সর্বশেষ চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের পর শুরু থেকেই আধিপত্য ধরে খেলেছে ব্রাজিল। পাঁচ বাছাইয়ের ৪টি হেরে যাওয়া সেলেসাওরা পয়েন্ট টেবিলে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে।
জোড়া গোলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাফিনহা বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এই জয়টা প্রয়োজন ছিল। টানা দুই ম্যাচ জয় খুব দরকার ছিল। দুই ম্যাচেই আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। নিখুঁত হওয়ার ক্ষেত্রে যদিও দূরেই আছি। তবে আমার মনে হয় আমরা সঠিক পথে আছি।’