চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সহজ সমীকরণের সামনে থেকেও সুযোগ হেলায় হারিয়েছে লিভারপুল। প্রথম লেগ জেতায় দ্বিতীয় লেগে হার এড়ালেই হতো তাদের। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-১ ব্যবধানে তাদের হৃদয় ভেঙে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)।
প্রথম লেগ লিভারপুল জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। ম্যাচের ১২ মিনিটে দেম্বেলে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে নিলে দ্বিতীয় লেগ পরিণত হয় থ্রিলারে। তাতে দুই লেগে ব্যবধান ১-১ হওয়ায় ম্যাচটা নির্ধারিত সময় পার হয়ে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফরাসি ক্লাবটির রক্ষণ ভাঙতে পারেনি লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত স্নায়ুক্ষয়ী পেনাল্টি শুটআউটে খেলা গড়ালে তাতে শেষ হাসি হেসেছে পিএসজি। যার নায়ক দলটির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। একে একে লিভারপুলের ডারউইন নুনেজ, কার্টিস জোন্সের স্পট কিক সেভ করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি। সফরকারী পিএসজি অবশ্য তাদের নির্ধারিত সব শটই জালে পাঠিয়েছে।
অ্যানফিল্ডকে ম্যাচের ১২ মিনিটেই স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন দেম্বেলে। খেলার ধারার বিপরীতে জাল কাঁপিয়েছেন। আর এই গোলই পিএসজিকে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ গড়ে দিয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখেরও। তারা বেয়ার লেভারকুসেনকে দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই লেগ মিলে জিতেছে ৫-০ গোলে।
৫২ মিনিটে শুরুর গোলটি করেছেন হ্যারি কেইন। ৭১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি ছিল ডেভিসের। শুরুর গোলটি করে ইতিহাসেও নাম লিখিয়েছেন কেইন। এই মৌসুমে এটি ছিল ইংলিশ তারকার দশম গোল। টুর্নামেন্ট ইতিহাসে কোনও ইংলিশ খেলোয়াড়ের জন্য যা সর্বোচ্চ। বায়ার্ন প্রথম লেগ জিতেছিল ৩-০ গোলে।
শেষ আট নিশ্চিত ইন্টার মিলানেরও। তারা ফেইনুর্ডকে দ্বিতীয় লেগে ২-১ ব্যধানে হারিয়েছে। দুই লেগ মিলে ইতালিয়ান ক্লাবটি এগিয়েছিল ৪-১ গোলে।