চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনহা। কিন্তু মাঠের খেলায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৪-১ গোলে পরাজয়ের পর ভক্ত-সমর্থকদের কাছে তাই ক্ষমা চেয়েছেন ব্রাজিল অধিনায়ক মার্কিনিয়োস।
বাছাইয়ে এটি ছিল সেলেসাওদের বড় ব্যবধানে পরাজয়। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সর্বশেষ ৪ বাছাই ম্যাচে আহামরি ফল করেনি। জিতেছে মাত্র একটি। তাই সামনের ম্যাচগুলোতে দ্রুত সতীর্থদের ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রেখেছেন ব্রাজিল অধিনায়ক। বুয়েন্স এইরেসে ম্যাচের পর বলেছেন, ‘এখানে যা করেছি, সেটা আবার হোক চাই না। হিট অব দ্য মোমেন্টে এখন বিবেচনার সঙ্গে কিছু বলা কঠিন। এটা ভীষণ বিব্রতকর আমাদের জন্য।’
ম্যাচ নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘আমরা শুরুটা ভীষণ বাজেভাবে করেছি। যা করতে পারি, সেটার চেয়েও ছিল নিচুমানের। আর প্রতিপক্ষ ছিল আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। তারা জানে কীভাবে খেলতে হয়। ভক্তদের কাছে তাই দুঃখপ্রকাশ করছি।’
কোচ দরিভাল জুনিয়রও বাছাইয়ের পারফরম্যান্স দিয়ে ভক্তদের আস্থা অর্জন করতে পারছেন না। ২০২৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বশেষ ১৬ ম্যাচে তার অধীনে ব্রাজিল জিতেছে ৭ ম্যাচ। সমালোচকরা কোচকে দোষারোপ করলেও মার্কিনিয়োস বলেছেন, ‘এটা কিন্তু শুধু কোচের দোষ নয়... খেলোয়াড়দেরও দোষ আছে।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। যেহেতু উগুরুয়ে-বলিভিয়া ম্যাচ শেষ হয়েছে গোল শূন্য ড্রয়ে। অপর দিকে ব্রাজিলকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চারে অবস্থান করছে তারা। সাতে থাকা ভেনেজুয়েলার চেয়ে মাত্র ৬ পয়েন্ট এগিয়ে। ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বলেছেন, ‘আমরা দলগতভাবে খেলেছি, সেই কারণেই ব্রাজিলকে ধরাশায়ী করতে পেরেছি। আমরা নিজেদের সর্বোচ্চ মান ধরে পারফর্ম করেছি। আমাদের সব সময় নিজেদের প্রমাণ করে খেলতে হবে। অবশ্য এটাও জানি, সব সময় হয়তো একইভাবে সম্ভব হবে না।’