মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ম্যাক্স গ্রুপ ৩২তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটারপোলো প্রতিযোগিতা। ২৬ বছর পর আবারও জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় সাঁতারে একসময় নিয়মিত অংশ নিতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২, ১৯৭৪ ও ১৯৭৬ সালে জাতীয় সাঁতারে রানার্স আপ হয়েছিল তারা।
সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে যেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সাঁতারে অংশ নিয়েছিল সেবার নিবেদিতা দাস জিতেছিলেন ৪টি সোনা ও ২টি রুপা। এরপর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় সাঁতারে অংশ নেয়নি। যদিও ২০১৩ সালে নামকা ওয়াস্তে একজন সাঁতারু অংশ নিলেও কোনও পদক পাননি। এবারের প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সার্ভিসেস সংস্থা ও ক্লাবের পাশাপাশি মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়। কিন্তু এবারের জাতীয় সাঁতারে অংশ নেওয়া সাঁতারুদের সবাই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। এবার সাঁতার ও ওয়াটারপোলো দুই বিভাগে অংশ নিচ্ছেন কৃষ্ণ হালদার, আবু বকর সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম রাসেল, রাজন সেন, সাইফুল ইসলাম তপু, আবদুর রাজ্জাক রকি, ইলিয়াস হোসেন, এবাদুল ইসলাম, আলী রওনক ইসলাম, নায়েব মোহাম্মদ শাহরিয়ার, স্বপন মিয়া, মানিকুল ইসলাম ও শ্রাবন্তী আক্তার।
মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকের উদ্যোগেই এবার জাতীয় সাঁতারে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক নিবেদিতা দাস বলছিলেন, ‘যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত আন্তঃবিভাগ, আন্তঃহল সাঁতার, ওয়াটারপোলো আয়োজিত হচ্ছে। গত ১১ অক্টোবর শেষ হয়েছে আন্তঃবিভাগ সাঁতার। ওই ধারাবাহিকতায় এবার মনে হয়েছে একটা গোছানো দল পেয়েছি। একটা পর্যায়ে ওদের টাইমিং এসেছে। এজন্যই আমরা জাতীয় সাঁতারে এসেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় সাঁতারে অংশগ্রহণের বিষয়টাকে বেশ সাধুবাদ জানিয়ে সাঁতার কোচ আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যথেষ্ট মেধাবী। লেখাপড়ায় পারদর্শী। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলবো ফেডারেশনের যে কোনও খেলায় অংশগ্রহণ করলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য সেটা হবে ভালো দিক।’
প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে সাঁতারে ১০টি ইভেন্ট হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। প্রথম দিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৯টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য, ২টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য ও ৫টি ব্রোঞ্জ এবং বিকেএসপি ৩টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে।