দেবী ও ভাবোন্মাদ কিশোর
ধর্ষক হাতের মতো ভাবোন্মাদ কিশোরের হাত
ছুটে চলে দেবীর স্তনের দিকে
ঘূর্ণি বায়ে সরে সরে হাসে দেবী
তবু হাত বাড়িয়ে ধরতে চায় বারবার
আঁচলের মতো নদী রেখে রেখে যেন সরে যায় দেবী
সেই পথে দৌড়ায় কিশোর—অবিরাম
দেবী লুকোচুরি খেলে, মিলিয়ে মিলিয়ে যায়;
কিশোর হয়রান
আবার সঙ্গীত হয়ে বেজে ওঠে বাতাসে, বৃক্ষের পাতায়
ছুঁয়ে দিতে দৌড়ায় কিশোর!
ত্রাস হয়ে দেবী বেজে ওঠে মেঘে মেঘে, দমকা হাওয়ায়, বিদ্যুচ্চমকে
উন্মাদ আগলে ধরে আকাশ বাতাস
তারপর একদিন জলভরা মেঘের মতন
নেমে আসে দেবী
ততদিনে ভাবোন্মাদ কিশোর—মস্ত যুবক
নম্র হাতে স্তন ছুঁয়ে ডেকে ওঠে—'মা'!
অমর
এক গ্লাস জীবনের খোঁজে
এক মরুদ্যানে হাজির হয়েছিলাম।
লোকে বলে সঞ্জীবনী দেবী আছেন সেখানে।
দুরুদুরু মন। ভাবি—অমর, তবে কি পেয়েছি তোমার খোঁজ!
হায় দেবী প্লাস্টিক! কী নিদারুণ চমৎকার!
লিপস্টিক ঠোঁট জুড়ে সেলসম্যানের বিনয়...
ফুটে আছে প্লাস্টিকের ফুল, বৃক্ষ ও যৌবন; ফুটে আছে নিবেদন!
হায় অমর! তুমি কী এত নিষ্প্রাণ সুন্দর!
নাকি কালের হুজুগ!