ছড়া দিলাম দশ, পাও যেন তার রস
১.
ঐ দেখা যায় জিগার গাছ
জিগার গাছে পাখির নাচ।
পাখির নাচে নদীর ঢেউ
দেখতে পারে কেউ কেউ।
কেউ কেউ তা দেখে না
কাব্য তারা লেখে না।
২.
সইকে দিলাম ফুল-বাতাসা
সইকে দিলাম মালা
সইকে দিলাম খোপা বেঁধে
তার যে যাবার পালা।
সই যে যাবে অনেক দূর
বাজবে তখন সানাই-সুর।
৩.
ফুল ফুটেছে ঝুমকোজবা
প্রজাপতি করছে সভা।
কোন ফুলে কে গন্ধ নেবে—
সময় গড়ায় ভেবে ভেবে।
ওই যে এলো ভোমরাও
দেখতে পেলে তোমরাও।
৪.
জৈষ্ঠ মাসে ঝড়ের দাপট
ঝড়ে পড়ে আম পটাপট
কুড়িয়ে নিয়ে আমরাই
নুন মেখে তা কামড়াই!
সঙ্গে মরিচগুঁড়াও
পারলে খেয়ে ফুরাও।
নেই সে স্বাদের তুলনা
বড় হলেও ভুলো না।
৫.
মানুষের বাড়লে বয়স
তারে তো মুরুব্বি কয়
আমের যদি বয়স বাড়ে
সে তখন মোরব্বা হয়।
মুরুব্বি হয় অনেক রকম
মোরব্বাও তাই
আমের যদি মোরব্বা হয়
হাপুস হুপোস খাই
অন্য মোরব্বা হলে
আমি উপোস যাই।
৬.
আম থেকে হয় অনেককিছু
আমসি বা আমসত্ত্ব
এটা কিন্তু সত্য।
এসব খেতে আমরা তখন
হয়ে উঠি মত্ত।
‘বেশি খেলে অসুখ হবে’
অনেকে দেয় তত্ত্ব
আমরা বলি, ‘কোথায় পেলে
এ আজগুবি তথ্য?’
‘সব খেয়ে শেষ?’ দেখতে আসে
ময়-মুরুব্বি যত্তো
‘এসব তো বানানো যায়
গাছে আছে কত্তো!’
৭.
জৈষ্ঠ মাসে কী পাকে
ভাবতে গিয়ে বিপাকে!
ভাবতে ভাবতে মাথায় ঘাম
ও, পেয়েছি, পাকে আম।
আর কী পাকে, জামও?
খুব হয়েছে, থামো!
এবং পাকে কাঁঠালও
যদিও তা আঠালো।
৮.
জাম বড় না কাঁঠাল সেটা
তুমিই বিচার করো!
কাঁঠালের একটি কোয়াই
জামের চেয়ে বড়।
কাঁঠালের কোয়ার চেয়ে
বেশ বড় হয় আম
একেক ফলের একেক স্বাদ
একেক রকম দাম।
৯.
আম মিঠা কাঁঠাল মিঠা
জাম কিন্তু টক
মানুষ এমন, মিঠা খাবে
টক খাবারও সখ!
শুকনো মরিচ বেটে
লবণ মেখে খাবে চেটে চেটে!
১০.
জামরুল খুব ফর্সা—
না টক না মিষ্টি এটা
এর কী আছে ভরসা?
এক্কেবারে পানসে!
কী করে খায় মানষে?
কিন্তু যদি গুনিস—
একটি দুটি খায় না তারা
আঠারো বা উনিশ।
চুলোয় পানি দিলে যেমন
একটু পরে বল্কায়
মানুষ তেমন ফল খায়।