ভারতে বেশ কয়েক দিন ধরে লাগাতার কমছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। শনিবার দৈনিক শনাক্ত নেমেছিল এক লাখ ২০ হাজারে। রবিবার তা আরও কিছুটা কমলো। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও এক লাখ ১৪ হাজার ৪৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত দুই মাসের মধ্যে ভারতে একদিনে করোনা শনাক্তের সংখ্যা এটিই সর্বনিম্ন। এর আগে দৈনিক সংক্রমণ সর্বশেষ এক লাখ ১৫ হাজারের নিচে ছিল গত ৬ এপ্রিল।
দৈনিক শনাক্তের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক মৃত্যু তিন হাজারের নীচে নেমেছে। রবিবার ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৬৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় যেভাবে হ্রাস-বৃদ্ধি হচ্ছে তাতে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬ জুন রবিবার পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দুই কোটি ৮৮ লাখ ৯ হাজার ৩৩৯। এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৯ জনের।
আক্রান্তের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে এক লাখ ৮৯ হাজার ২৩২ জন। এখনও পর্যন্ত মোট দুই কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে। এই মুহূর্তে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৯।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৩১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫২২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারত ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৩৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২৩ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৪১৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।