X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিলামে বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্বর্ণমুদ্রা

বিদেশ ডেস্ক
০৯ জুন ২০২১, ১৮:৫৮আপডেট : ০৯ জুন ২০২১, ১৯:২৫
image

যুক্তরাষ্ট্রে একটি নিলামে এক কোটি ৮৮ লাখ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ২০ ডলার মূল্যের একটি স্বর্ণমুদ্রা। ১৯৩৩ সালে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট যখন আমেরিকাকে গোল্ড স্টান্ডার্ড থেকে বের করে নিয়ে যান তারপর থেকে এই কয়েন আর কখনওই ইস্যু করা হয়নি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের সুথিবি’স নিলামে স্বর্ণমুদ্রাটি বিক্রি হয়। এটিই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কয়েন। এর আগে ২০১৩ সালে ১৭৯৪ সালের একটি রুপার মুদ্রা বিক্রি হয় এক কোটি ডলারে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০ ডলারের স্বর্ণমুদ্রাটির নকশা করেন আমেরিকান স্থপতি অগাস্টাস সেইন্ট গউডেনস। সুথিবি’স নিলাম কর্তৃপক্ষ এটি সম্পর্কে বলেছে, বাজারে সার্কুলেশনের উদ্দেশে তৈরি করা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ কয়েন হওয়ায় এটি বিশ্বের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মুদ্রাগুলোর একটি। তাদের ধারণা ছিলো এটি এক থেকে দেড় কোটি ডলারে বিক্রি হবে।

শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে দামী মুদ্রা হিসেবে বিক্রি হওয়া কয়েনটির একপাশে লেডি লিবার্টির ছবি আর অন্যপাশে আমেরিকান ঈগলের ছবি রয়েছে। ডাবল ঈগল নামে পরিচিত মুদ্রাটি ১৯৩৩ সালে সার্কুলেশনের জন্য তৈরি করা হলেও এটি কখনওই বৈধভাবে ব্যবহারের অনুমোদন পায়নি।

ওই বছর মহামন্দার কবল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি রক্ষা করার উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট গোল্ড স্টান্ডার্ড থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনকে দেওয়া দুইটি ছাড়া বাকি সব কয়েন ধ্বংসের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ১৯৩৭ সালের দিকে বাজারে কয়েকটি মুদ্রা দেখা যাওয়ায় এনিয়ে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ওই তদন্তের মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে এসব কয়েন মার্কিন সরকারের কাছ থেকে চুরি করা হয়েছে আর এগুলো নিজের কাছে রাখা অবৈধ।

সুথিবি’স নিলামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এগুলোর মধ্যে একটি কয়েন কিনে নেওয়া হয় আর ভুলক্রমে রফতানি লাইসেন্স পেয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত কয়েনটির স্থান হয় মিসরের রাজা ফারুকের মুদ্রা সংগ্রহশালায়। ১৯৫৪ সালে সুথিবি’স মুদ্রাটি নিলামে ওঠানোর চেষ্টা করলে মার্কিন রাজস্ব বিভাগ এটি প্রত্যাহার করে নিতে সক্ষম হয়।

এরপর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কয়েনটির অবস্থান ছিলো অজানা। ওই সময় নিউ ইয়র্কের একটি হোটেল থেকে কয়েনটি জব্দ করে গোয়েন্দা সংস্থা। পাঁচ বছরের আইনি লড়াই শেষে সিদ্ধান্ত হয় কয়েনটি বেসরকারি মালিকানায় যেতে পারবে। এটি ছাড়া অন্য যেসব ডবল ঈগল কয়েন দেখা গেছে, সেগুলো মার্কিন সরকারের সম্পত্তি বলে গণ্য হবে বলেও সিদ্ধান্ত আসে।

সেই কারণে মঙ্গলবার বিক্রি হওয়া ১৯৩৩ সালের ডবল ঈগল কয়েনটি বৈধভাবে বিক্রি হতে পারা একমাত্র কয়েন। ২০০২ সালেও কয়েনটি ওই সময়ের রেকর্ড গড়া দাম ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারে কিনে নেন ডিজাইনার স্টুয়ার্ট ওয়েটজম্যান।

/জেজে/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
বিরল সূর্যগ্রহণ দেখতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে জড়ো হবেন ১০ লাখ দর্শনার্থী
সর্বশেষ খবর
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়