করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর ভারতের তিন ব্যক্তি শরীরে চুম্বক শক্তির জন্ম হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এই তিন ব্যক্তির একজন মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকের, দ্বিতীয় জন একই রাজ্যের থানে জেলার এবং তৃতীয়জন পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ির নেপাল চক্রবর্তীর বয়স ৫৮ বছর। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই ফুলেশ্বরীর বাড়িতে একাই থাকেন। ৭ জুন করোনাভাইরাসের টিকা নেন তিনি। সব ঠিকই ছিল, কোনও সমস্যাও হয়নি। কয়েক দিন পর তিনি জানতে পারেন মহারাষ্ট্রের এক বৃদ্ধের শরীরে চুম্বক শক্তি তৈরি হয়েছে। চুম্বকের ধর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন ধাতব বস্তুকে শরীর আকর্ষণ করছে। দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের শরীরে দিব্যি আটকে রয়েছে হাতা, খুন্তি, চামচ ও পয়সা।
নেপাল চক্রবর্তী জানান, ওই খবরটি দেখার পর তার নিজেকে পরীক্ষা করে দেখার ইচ্ছে হয়। তার শরীরেও এমন চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে কিনা, তা বুঝতে পয়সা আটকে দেখেন। পয়সাটি পড়ে যায়নি। তারপর একে একে আরও বিভিন্ন ধাতব বস্তু নিয়ে পরীক্ষা করেন। দেখা যায়, সবই আটকে যাচ্ছে তার শরীরে। ১১ জুন থেকে এমন অবস্থা চলছে।
রবিবার এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। নেপাল চক্রবর্তীর দাবি, তার শরীরে আলাদা কোনও সমস্যা নেই। তিনি স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন।
খবরে বলা হয়েছে, তকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
এর আগে, ১০ জুন নাসিকের এক বৃদ্ধের শরীরেও ঠিক একইভাবে চুম্বক শক্তি তৈরি হয়েছিল করোনার টিকা নেওয়ার পর। শুরুতে তার বাড়ির লোকেরা বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিল না। তাদের মনে হয়েছিল, ঘামের কারণে শরীরে এসব আটকে যাচ্ছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি গোসল করার পর শুকনো শরীরেও ধাতব বস্তু আটকে যাচ্ছিল।
মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ৪৬ বছরের আরেক ব্যক্তিও একই দাবি করেছেন। নিজের দাবির পক্ষে সান্তারাম চৌধুরী নামের ব্যক্তি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা গেছে, প্লেট, চামচ ও পয়সা তার শরীরে আটকে আছে।
তিনিও দাবি করেছেন, নাসিকের ওই ব্যক্তির খবর দেখে তিনি নিজের শরীর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। ১৮ এপ্রিল করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ফ্যাক্ট-চেকিং শাখা জানিয়েছে, এই দাবি ভিত্তিহীন। টিকায় মানুষের শরীরে চৌম্বকীয় প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে না। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
