পোশাক শিল্পে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর সংক্রান্ত নীতি সহায়তা প্রদানের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার (২৩ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি দলে ছিলেন— সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), বিজিএমইএ’র বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার) ও সাবেক পরিচালক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ।
সভায় বিকেএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সদস্য (আয়কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য (শুল্ক নীতি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. মাসুদ সাদিক ও সদস্য (ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. আব্দুল মান্নান শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনা মহামারিতে পোশাক শিল্প ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে এই শিল্পকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর সংক্রান্ত নীতি সহায়তা প্রদান করা হলে, তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।’
সভায় সার্বিকভাবে পোশাক শিল্পে বিদ্যমান কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি দল পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত জরুরি কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাবনাও উত্থাপন করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে বিজিএমইএ’র উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে—
১. পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নগদ সহায়তার ওপরে আয়কর কর্তনের হার ১০% থেকে হ্রাস করে ০% নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা।
২. রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করকে (০.৫%) চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে গণ্য করে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা।
৩. তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট করের হার ১২% এবং গ্রিন কারখানার জন্য ১০% করহার আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বলবৎ রাখা।