আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে ভারতের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে- এমন মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ায় সিআইএ-র সন্ত্রাস দমন বিষয়ক প্রধান ডগলাস লন্ডন। তিনি বলেন, তালেবান স্পষ্টতই ভারতকে একটি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে সবচেয়ে বাজে চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ডগলাস লন্ডন।
দক্ষিণ এশিয়ায় তালেবানের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভারতের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের ফলে এমন একটি শক্তির (তালেবান) উত্থান ঘটেছে যারা শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদেরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’
এমন সময়ে এসব মন্তব্য করলেন ডগলাস লন্ডন যার দুই দিন আগে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের মুসলিমদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। বিবিসির হিন্দি সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলটির মুখপাত্র সুহাইল শাহিন এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে কাশ্মির, ভারত বা অন্য যে কোন দেশের মুসলিমদের পক্ষে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে।’
পাকিস্তানভিত্তিক একটি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ কাশ্মির সমস্যার সমাধানে পাকিস্তান ও ভারতকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেন, অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালানোর কোনও নীতি তালেবানের নেই।
আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর ভারতে অনেকে আশঙ্কা করছে, দলটির একটি অংশ হয়তো এখন পাকিস্তানের ভারতবিরোধী শক্তির প্ররোচনায় পা দেবে। সেক্ষেত্রে তারা হয়তো দিল্লি শাসিত কাশ্মিরের দিকে তাদের নজর দেবে। ডগলাস লন্ডনের মন্তব্য দৃশ্যত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।