এক গোল করে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষে পুড়তে হয়েছে স্বপ্নভাঙার যন্ত্রণায়। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রবিন রাউন্ড লিগের শেষ ম্যাচে বিতর্কিত পেনাল্টিতেই সর্বনাশ! নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রতে ছিটকে যেতে হয় অস্কার ব্রুজনের দলকে। মালেতে এমনভাবে বিদায়ে বেদনায় নীল গোটা বাংলাদেশ দল।
মাঠেই রেফারিকে ঘিরে ধরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন জামাল-তপুরা। তারপর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন খেলোয়াড়রা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফাইনালে ওঠার মোক্ষম সুযোগ যে হাতছাড়া হয়েছে!
ম্যাচ শেষে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের কষ্ট-যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল করা ডিফেন্ডার তপু বর্মণ লিখেছেন, ‘আমরা দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী আপনাদের কাছে। সব ভক্ত, বিশেষ করে মালদ্বীপের প্রবাসী ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারিনি। কতটা খারাপ লাগছে আমাদের বলে বোঝাতে পারবো না। কঠিন সময় সবাই পাশে থাকবেন, এই প্রার্থনা করি।’
বিপলু আহমেদ তো চোখের নিচে আঘাত পেয়েও মাঠ ছাড়েননি। ব্যান্ডেজ লাগিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ডান চোখের নিচে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। ডাক্তার বিশ্রামে থাকতে বলেছে। কিন্তু আমি ও আমার দলের সবাই ঘুমহীন রাত অতিবাহিত করেছি।’
অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সব সমর্থককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি সবাইকে ভালোবাসি। যদি তাদের হাতে পুরো বিশ্ব তুলে দিতে পারতাম... যেভাবে তারা আমাকে ও পুরো দলকে ভালোবাসা দিয়েছে। তবে এই ফলে আমি হতাশ। আমরা ফাইনালে যেতে পারিনি। দুঃখিত সমর্থক! আশা করছি, আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারবো।’
জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বেশ ব্যথিত। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘এভাবে আমাদের বিদায় নিতে হবে, চিন্তাও করতে পারিনি। বাজে রেফারিংয়ের কারণে ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারলাম না। রাতে সেভাবে আমরা ঘুমাতেই পারিনি। ছটফট করেছি শুধু। শুধু চিন্তা করেছি এ কী হলো!’
আর এটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফাইনালে ওঠার দোরগোড়ায় এসে এভাবে বিদায় নেওয়াটা যে অনেক কষ্টের, ব্যথার!