বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই বাংলাদেশকে হারিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। এখানেই শেষ নয়, ওমানে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক রাউন্ডের ‘বি’ গ্রুপে থাকা পাপুয়া নিউগিনি, ওমানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার টুয়েলভে সুযোগ করে নিয়েছে তারা। সোমবার (২৫ অক্টোবর) সেই স্কটিশদের মাটিতে নামিয়ে আনলো আফগানিস্তান। তাদের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্কটিশরা অলআউট মাত্র ৬০ রানেই। ফলে ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় আফগানরা।
সোমবার শারজাতে আগে ব্যাটিং করে বড় পুঁজি পায় আফগানিস্তান। স্কটল্যান্ডের নির্বিষ বোলিংয়ের সামনে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯০। ১৯১ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্কটল্যান্ডের দুই ওপেনার মিলে ২৮ রান করেন। ডানহাতি স্পিনার মুজিবুর রহমানের ঘূর্ণিজাদুতে ২৫ রানে বোল্ড হন স্কটিশ ওপেনার জর্জ মুনসি। সেই থেকেই ধস নামা শুরু। স্কটিশ ১০ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র তিনজন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। মুনসির ২৫ ছাড়া বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক ক্রিস গ্রেভস ১২ ও অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ৫ ব্যাটার রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরেছেন।
স্কটিশদের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙ্গে দিতে ভূমিকা রেখেছেন অফস্পিনার মুজিবুর রহমান ও লেগ স্পিনার রশিদ খান। মুজিব ২০ রানে ৫টি ও রশিদ ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে শারজাতে আগে ব্যাটিং করা আফগানিস্তানের দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাঝাই ও মোহাম্মদ শাহজাদ উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ৫৪ রানের জুটি গড়ে শাহজাদ (২২) আউট হন। জাঝাই সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে করেন ৪৪ রান। ১০ ওভারে আফগানিস্তানের রান ছিল ৮২। শেষ ১০ ওভারে তারা তোলে ১০৮ রান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে নাজিবুল্লাহর ব্যাট থেকে। ৩৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া ৩৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ রান করেন রহমতউল্লাহ।
স্কটিশদের বোলারদের মধ্যে শাফইয়ান শরিফ ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন।