আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তি সংস্থা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)–এর বকেয়া পরিশোধের পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে রয়েছে। আকুর মাধ্যমে মার্চ–এপ্রিল মাসের জন্য বাংলাদেশ ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিনের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। আকু বিল পরিশোধের পর দিন শেষে তা কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, আকু একটি আঞ্চলিক অর্থ লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, যার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রতি দুই মাস পর বাণিজ্যিক দেনা-পাওনার হিসাব চুকানো হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, ইরান, মিয়ানমার ও মালদ্বীপ এর সদস্য। শ্রীলঙ্কা আগে সদস্য থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে সংস্থা থেকে সরে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এর আগে জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারির জন্য ১৭৫ কোটি ডলার এবং নভেম্বর–ডিসেম্বর সময়ের জন্য ১৬৭ কোটি ডলার আকুতে পরিশোধ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যেভাবে রিজার্ভ দ্রুত হারে কমছিল, এখন সেই প্রবণতা নেই। বরং সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে।’
২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর ধীরে ধীরে কমে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়নে। তবে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি ও অর্থপাচারের প্রবণতা কমেছে। একইসঙ্গে প্রবাসী আয় ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও রফতানি আয় ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে, যা ডলার বাজারে চাপ কমিয়েছে।
তবে আকু বিল পরিশোধের পর চূড়ান্ত হিসাব এখনও নির্ধারিত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ‘চূড়ান্ত হিসাব বুধবার নির্ধারিত হবে। তখন প্রকৃত রিজার্ভ জানা যাবে।’